অর্থনীতি, রাজনীতি এবং কূটনীতিতে পারদর্শী আচার্য চাণক্যকে। তাঁর নীতিশিক্ষায় মানব জীবনের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেছেন। এই নীতিগুলি অনুসরণ করে একজন ব্যক্তি সমাজ ও পরিবারে নিজের অবস্থান পোক্ত করতে পারেন। আচার্য চাণক্য তাঁর নীতিতে বলেছেন, কীভাবে খারাপ সময় আসার আগে ৫টি ইঙ্গিতেই বুঝে নিতে হয়। নিজের বাড়িতেই দেখতে পাবেন এমন ৫ সতর্কবার্তা। আচার্য চাণক্যও বলেছেন যে যখনই কোনও ব্যক্তি আর্থিক সংকটের মুখোমুখি হন, তখনই তিনি আগেভাগেই সংকেত পেয়ে থাকেন। তাই তার চারপাশে ঘটতে থাকা কিছু ঘটনার দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত, যা ভবিষ্যতে খারাপ সময়ের ইঙ্গিত দেয়। তাহলে জেনে নেওয়া যাক সেই ইঙ্গিতগুলি কী কী-
১। শুকনো তুলসী গাছ- তুলসী গাছকে পূজনীয় বলে মনে করা হয় হিন্দু বাড়িতে। বাড়িতে তুলসী রাখলে আসে সুখ শান্তি। বিনা কারণে এই গাছটি শুকিয়ে গেলে অশুভ ইঙ্গিত। আচার্য চাণক্য বলেছেন যে তুলসী গাছটি অনেক যত্নের পরেও শুকিয়ে যায় তবে এটি ভবিষ্যতে আর্থিক সংকটের লক্ষণ হতে পারে।
২। বাড়িতে অশান্তি-ঝামেলা- বাড়িতে হঠাৎ ঝামেলা-অশান্তি বেড়ে গেলে অশুভ সংকেত। কোনও কারণ ছাড়াই ছোটখাটো বিষয় নিয়ে ঝগড়া শুরু হলে এই আর্থিক সংকটের দিশা নির্দেশ করে। তবে বাস্তু দোষ এবং গ্রহের ত্রুটির কারণেও ঘরোয়া ঝামেলা দেখা দেয়। তাই বাড়িতে কলহ হলে সাবধান হোন।
৩। কাচ ভাঙা- ঘরে বারবার কাচ ভাঙা দারিদ্র্য ও আর্থিক ক্ষতির ইঙ্গিত দেয়। অতএব চারপাশের আয়না ও জানলার কাচের যত্ন নিন। সতর্ক থাকুন।
৪। বাড়িতে পুজো নেই- বাড়িতে যদি পুজোআচ্চা না হয় বা ভালো লাগে না পুজো দিতে, তাহলে তা সুখ-সমৃদ্ধির অভাব নির্দেশ করে। চাণক্য বলেছেন যে এতে অর্থনৈতিক সংকটের ইঙ্গিত মেলে। কারণ যেখানে পুজো নেই সেখানে সুখ-সমৃদ্ধি নেই। তাই নিয়মিত পরিষ্কার পোশাকে পুজো দিন। মন্ত্রোচ্চারণ করে ধ্যান করতেও পারেন।
৫। বড়দের অসম্মান- বাড়ির বড়দের সবসময় সম্মান করা উচিত। কারণ বড়রা আমাদের আশীর্বাদ করেন। তাঁদের সম্মান না করা হলে তাঁরা কষ্ট পান। গুরুজনদের সঙ্গে এমন আচরণ করলে জীবনে কখনও সুখ আসে না। এটাও অর্থনৈতিক সংকটের লক্ষণ।