Advertisement

Chanakya Niti Wise Men Qualities: বুঝদার হতে চান? চান সবাই কথা শুনুক? চাণক্য মেনে এই ৩ গুণ আয়ত্ত করুন

আচার্য চাণক্য এই নীতির মাধ্যমে ব্যক্তির স্বভাব সম্পর্কে বলেছেন। এই নীতি মানলে সেই ব্যক্তি চিরকাল কারও প্রিয় হয়ে থাকতে পারেন। সমাজে তাঁকে সম্মানের নজরে দেওয়া হয়। তিনিই হলেন জ্ঞানী। আচার্যের মতে, যদি কোন ব্যক্তির ভিতরে এই তিনটি জিনিস থাকে তবে তাঁকে জ্ঞানী বলা যেতে পারে।

চাণক্যনীতি।
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 27 Aug 2023,
  • अपडेटेड 10:12 PM IST
  • দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ দার্শনিক চাণক্য।
  • তাঁর নীতিকথা আজও প্রাসঙ্গিক।

দেশে-বিদেশে সমাদৃত চাণক্যনীতি। ভারতের শ্রেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ, কূটনীতিক চাণক্য। নানা বিষয়ে তিনি তাঁর মত ব্যক্ত করে গিয়েছেন। সেই সব নীতি আজও প্রাসঙ্গিক। সাফল্য এবং সুখী জীবনযাপনের জন্য চাণক্যনীতি মেনে চলা উচিত। আচার্য চাণক্য ছিলেন একজন মহান দার্শনিক। তার নীতিগুলি অনেকের কাছে কঠোর বলে মনে হতে পারে, কিন্তু সেগুলি মেনে চললে জীবনে কখনও কষ্ট হয় না। আচার্য চাণক্য তাঁর নীতিতে বলে গিয়েছেন, কোন কোন গুণ থাকলে মানুষ জ্ঞানী হন। চলুন জেনে নেওয়া যাক- 

শ্লোক- প্রস্তাবসহংশ বাক্য প্রভাবসহংশ প্রিয়ম। আত্মশক্তিসমং কোপং যো জনাতি স পণ্ডিতঃ।।

সারাংশ- যে কোনও সভায় কখন কী বলতে হবে, কাকে প্রেম করতে হবে, কখন কতটা রাগ দেখাতে হবে, যিনি এসব জানেন তিনিই জ্ঞানী।

আচার্য চাণক্য এই নীতির মাধ্যমে ব্যক্তির স্বভাব সম্পর্কে বলেছেন। এই নীতি মানলে সেই ব্যক্তি চিরকাল কারও প্রিয় হয়ে থাকতে পারেন। সমাজে তাঁকে সম্মানের নজরে দেওয়া হয়। তিনিই হলেন জ্ঞানী। আচার্যের মতে, যদি কোন ব্যক্তির ভিতরে এই তিনটি জিনিস থাকে তবে তাঁকে জ্ঞানী বলা যেতে পারে।

কখন কী বলা উচিত? আচার্য চাণক্যের মতে, সমাজে বিভিন্ন প্রকৃতির মানুষ বিদ্যমান। অনেকেই আছেন যাঁরা কিছু না ভেবেই কথা বলেন। এই ধরনের লোকদের বেশিরভাগই পাগল বলে মনে করা হয়। তাঁদের কথায় খুব বেশি মনোযোগ দেওয়া হয় না। তাঁরা গুরুত্বপূর্ণ কথা বললেও কেউ কান দিতে চান না। এই ধরনের ব্যক্তিকে কেউ গুরুত্ব দিতে চান না। অন্যদিকে, এমন কিছু ব্যক্তি রয়েছেন যাঁরা চিন্তা করে কথা বলেন। তাঁরা যা ইচ্ছা বলে দেন না। তাঁদের কথার মধ্যে ওজন থাকে। সবাই তাঁর মত শুনতে চান। তিনিই হলেন বিদ্বান। তাই অযথা কথা একদম নয়। আপনার কথা হবে শাণিত। 

Advertisement

কাকে ভালবাসবেন? আচার্য চাণক্যের মতে, কখন কাকে ভালবাসতে হবে সে সম্পর্কে সচেতন হওয়া উচিত। কারণ ভুল মানুষকে ভালোবাসলে সারাজীবনের সমস্যা থেকে যায়। তাই যে জানে কাকে ভালবাসতে হবে, তাঁর জীবন সুখে পরিপূর্ণ থাকে। তাই জ্ঞানী ব্যক্তিরা দেখেশুনে মনের মানুষ চয়ন করতে পারেন। 

কতটা রাগ করা উচিত- রাগ এমন একটা আবেগ, যা সুখের সংসার পুড়িয়ে দিতে পারে। যে কোনও ব্যক্তির অবনতির কারণ হতে পারে রাগ। রাগে মেজাজ হারিয়ে ফেলেন যে কোনও ব্যক্তি। খেই হারিয়ে ফেলেন। কিছুই বুঝতে পারেন না। যখনই বুঝতে পারেন, তখন অনেক দেরি হয়ে যায়। সেজন্য কখন কতটা রাগ দরকার, তা বুঝে চলতে হবে। যিনি ভারসাম্য রেগে ক্রোধ দেখান তিনিই জ্ঞানী। অর্থাৎ জ্ঞানীর ব্যক্তি রাগের সময়ও নিজের নিয়ন্ত্রণে থাকে। 
 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement