পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ পণ্ডিতদের মধ্যে অন্যতম আচার্য চাণক্য। তাঁর লেখা চাণক্য নীতি আজও পড়া হয়। চাণক্য নীতিতে, আচার্য চাণক্য এমন অনেক কথা বলেছেন, যা অনুসরণ করে একজন ব্যক্তি সাফল্যের পথে এগিয়ে যেতে থাকেন। চাণক্য নীতিতে জীবনের বিষয়, অর্থ, আচরণ, কৌশল ইত্যাদি নিয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
চাণক্য নীতি অনুসারে, জীবনে সাফল্য পেতে কোনও ব্যক্তির কিছু বিশেষ জিনিস মাথায় রাখা উচিত। এছাড়াও তাঁদের জীবনে কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে হবে, যার মাধ্যমে ভবিষ্যতে আসা বাধাগুলি অতিক্রম করা যেতে পারে। চলুন জেনে নিই, আচার্য চাণক্যের কাছ থেকে সাফল্যের সহজপাঠ।
মূর্খঃ যত্র ন পূজ্যন্তে ধন্যম্ যত্র সুসঞ্চিতম্।
দাম্পত্যে কালহো নাস্তি তত্র শ্রী স্বয়মগতা।।
এই শ্লোকের মাধ্যমে আচার্য চাণক্য বলছেন, যে, যে স্থানে মূর্খদের সম্মান করা হয় না, সেখানে শস্য ভাণ্ডার পরিপূর্ণ থাকে। যেখানে স্বামী-স্ত্রী বা পরিবারের মধ্যে কখনও বিবাদ হয় না, সেখানে মা লক্ষ্মী স্বয়ং বাস করেন। তাই একজন মানুষের সবসময় এই বিষয়গুলি মাথায় রাখা উচিত। আচরণে নম্রতা আনতে হবে। ভদ্র হতে পাবে। শান্তভাবে কথা বলতে হবে। অশান্তি থেকে দূরে থাকতে হবে। নির্বোধের মতো আচরণ পরিত্যাগ করতে হবে। কারণ এমন ব্যক্তিই সমাজে সম্মান পান এবং সফল হন।
সর্গেয়েচক্রে দুর্ভিক্ষে চ ভাষ্টকে।
অসাধুজনসম্পর্কে পলায়নি স জীবতি।।
চাণক্য নীতির এই শ্লোকে আচার্য চাণক্য বলেছেন, ঝামেলা বা যুদ্ধ বা দুর্ভিক্ষ বা দুষ্ট লোকের সংস্পর্শে থেকে যে মানুষ সময়মতো পালিয়ে যান, তিনিই সাফল্য পান। শুধুমাত্র সেই ব্যক্তিই বেঁচে থাকেন। জীবনে সাফল্য অর্জন করে। একজন ব্যক্তির উচিত প্রতিটি কাজ চিন্তা করে করা। কারণ একটি ভুল সিদ্ধান্ত ভবিষ্যৎ ধ্বংস করতে পারে। যিনি সৎসঙ্গে থাকেন তিনিই পান সাফল্য। দুর্জনের সঙ্গ তাই এড়িয়ে চলুন।