স্বামী-স্ত্রীর মনের মিল থাকলেই সুখী হয় বিবাহজীবন। বিয়ে শুধু দুটি ব্যক্তির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে পরিবারও। তাই ঠিক করে পাত্রপাত্রী দেখে বিয়েই করাই শ্রেয়। সেজন্য বিবাহিত নারীদের সব কাজ সাবধানে করা উচিত। স্ত্রী গুণবতী হলে সংসার হয় সুখের। পুরুষের জীবনকে সুখে ভরিয়ে দেন। বাড়ির পরিবেশও মনোরম করে তোলেন আদর্শ স্ত্রী। কিন্তু স্ত্রী যদি সুবিধের না হলে পরিবারের সব সদস্যকে ফল ভোগ করতে হয়। স্বামী নিজেও সুখে থাকেন না।
মহান কূটনীতিক ও দার্শনিক আচার্য চাণক্যের নীতির সংকলন চাণক্য নীতি বই। তাতে বলা হয়েছে,স্ত্রীর ক্ষয়িষ্ণু গুণাবলী থাকলে তাঁকে ত্যাগ করাই উপযুক্ত। কোন কোন গুণ দেখে বুঝবেন এই মহিলা খারাপ, তিনি কাউকে সুখে রাখতে পারেন না-
যিনি চিন্তা করে কথা বলেন না- চাণক্য নীতি অনুসারে, এমন স্ত্রীর ত্যাগ সঠিক বলে বিবেচিত হয়, যাঁর কথার উপর নিয়ন্ত্রণ থাকে না। তিনি খুব কর্কশ শব্দ ব্যবহার করেন। কারণ এই ধরনের মহিলারা এমন কিছু বলে, যা সংসারের প্রভূত ক্ষতি করে। এছাড়াও এই ধরনের মহিলারা অন্যদের অনুভূতির বিষয়ে চিন্তা করে না।
ঝে রেগে যান-রাগ মানুষের স্বভাব। কিন্তু যখন কেউ এতটা রেগে যায়, যে চারপাশের মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে, তখন সেই স্ত্রীকে ত্যাগ করাই শ্রেয়। আচার্য চাণক্য বলেছেন, নিজের ও পরিবারের সুখের জন্য রাগকে নিয়ন্ত্রণে রাখাই কাম্য।
ঘরের পরিবেশ নষ্ট করে- যে স্ত্রী ঘরে অশান্তি সৃষ্টি করে তাঁর জীবন কখনও সুখকর হতে পারে না। এই গুণের ফল পুরো প্রজন্মকে ভোগ করতে হতে পারে। এই ধরনের মহিলারা তাঁদের সন্তানদেরও ভালো গুণ শেখাতে পারে না।
আদর্শ স্ত্রীর পরিচয় কী?
চাণক্য নীতি অনুসারে,একজন মহিলাকে তখনই ভালো স্ত্রী বলা হয় যখন সে তাঁর কর্ম, ধর্ম এবং কথায় শুদ্ধ হয়। তাঁর বলা কথা এবং তাঁর করা কাজের ফল ইতিবাচক হয়। তিনি জানেন কম টাকায় বাড়ি চালাতে। স্বামীকে ভালোবাসেন। প্রতিটি সুখে-দুঃখে তাঁর পাশে থাকেন।