Advertisement

Chyawanprash Recipe:সুস্থ থাকতে অব্যর্থ চ্যবনপ্রাশ, বাড়িতেই সহজে তৈরি করা যায়, জেনে নিন পদ্ধতি

How to make Chyawanprash: বাজারে চ্যবনপ্রাশ সহজলভ্য, তবে আজ আমরা আপনাকে ঘরেই চ্যবনপ্রাশ বানানোর একটি সহজ উপায় বলব। শীতকালে চ্যবনপ্রাশ খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী থাকে এবং সর্দি-কাশির প্রভাবও কম হয়।

চ্যবনপ্রাশ শিশু থেকে বয়স্ক সবার জন্য উপকারী
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 05 Jan 2022,
  • अपडेटेड 5:14 PM IST
  • চ্যবনপ্রাশ শিশু থেকে বয়স্ক সবার জন্য উপকারী
  • চ্যবনপ্রাশ এমনই একটি আয়ুর্বেদিক হেলথ টনিক
  • যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং শীররকে শক্তিশালী ও স্বাস্থ্যকর রাখতে সহায়ক

 

Homemade Chyawanprash Recipe: চ্যবনপ্রাশ শিশু থেকে বয়স্ক সবার জন্য উপকারী। চ্যবনপ্রাশ এমনই একটি আয়ুর্বেদিক হেলথ টনিক, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং শীররকে  শক্তিশালী ও স্বাস্থ্যকর রাখতে সহায়ক। চ্যবনপ্রাশ সাধারণ সর্দি থেকে শুরু করে শ্বাসকষ্ট সমস্যা কমাতেও উপকারী বলে মনে করা হয়। বাজারে চ্যবনপ্রাশ সহজলভ্য, তবে আজকে আমরা আপনাকে ঘরেই চ্যবনপ্রাশ বানানোর সহজ উপায় বলব। শীতকালে চ্যবনপ্রাশ খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী থাকে এবং সর্দি-কাশির প্রভাবও কম হয়।

 

উপাদান.. 

  •  ৫০০ গ্রাম আমলকি
  •  ৬-৭টি ছোট এলাচ
  • ৫ গ্রাম গোলমরিচ
  • একটি মাঝারি দারুচিনির স্টিক 
  • এক চামচ জিরা 
  • দুই চামচ মৌরি
  • ১/৩ কাপ ঘি
  • ৪০০ গ্রাম গুড় 
  •  ১ কাপ মধু 
  •  এক চুটকি কেশর বা জাফরান 
  • ২টি তেজ পাতা 
  •  ১০ গ্রাম শুকনো আদা 
  •  ১০ গ্রাম ভ্যানশালোচন 
  • ১০ গ্রাম লং পিপার বা পিপ্পালি 
  •  ৫ গ্রাম নাগকেশর 
  •  ৫ গ্রাম জায়ফল 
  • ৫ গ্রাম লবঙ্গ
  •  একমুঠো কিশমিশ
  •  ১০-১২টি শুকনো খেজুর( বীজ হীন) 
  • ১/৩ কাপ তিলের তেল 
  •  তুলসী 
  •  নিম 
  •  অশ্বগন্ধা 
  • ব্রাহ্মী
  • বেল 
  • পুনর্ণভা 
  • বাসক পাতা
  • হলুদ 
  •  শতাবরী 
  • যষ্টিমধু
  •  

Chyawanprash তৈরীর সম্পূর্ণ পদ্ধতি 

  • প্রথমে আমলকি ঠান্ডা জলে ভালো করে ধুয়ে নিন। তারপর প্রেসার কুকারে সিদ্ধ করে নিন (তবে বেশি সেদ্ধ করবেন না)। কড়াইতেও করতে পারেন। তারপর আমলকির বীজ বের করে, ভালো করে পেস্ট তৈরি করে নিন। 
  •  এরপর সমস্ত শুকনো মশলা একসঙ্গে গুঁড়ো করুন। তারপর ভেষজগুলি একসঙ্গে গুঁড়ো করে নিন (ভেষজগুলি শুকনো করে কিংবা তাজাও ব্যবহার করতে পারেন)। 
  •  তারপর একটি কড়াইয়ে ঘি এবং তিলের তেল এক সাথে গরম করে নিন।
  • তারপর ঘি ও তেলের মিশ্রণে, আমলকির পেস্ট দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন এবং হালকা আঁচে কষাতে থাকুন। যতক্ষণ না পর্যন্ত আমলকি তেল ছাড়তে শুরু করে, ততক্ষণ পর্যন্ত নাড়তে থাকুন।
  •  আমলকির মিশ্রণটিতে সমস্ত গুঁড়ো মশলা এবং ভেষজ ভাল করে মিশিয়ে নিন। যতক্ষণ না পর্যন্ত কড়াই থেকে আমলকি এবং মশলার মিশ্রণটি সহজেই ছেড়ে আসছে, ততক্ষণ পর্যন্ত মাঝারি আঁচে নাড়তে থাকুন। 
  • এবার ওই মিশ্রণটিতে গুড় এবং মধু মিশিয়ে, মাঝারি আঁচে ৫-৭ মিনিট নাড়াচাড়া করে নামিয়ে ফেলুন।
  • ঠান্ডা হলে, কাঁচের এয়ারটাইট বয়ামে ঢেলে রাখুন। ব্যস, তৈরি আপনার কেমিক্যাল ফ্রি চব্যনপ্রাশ।

চ্যবনপ্রাশ কেন এত উপকারি
চ্যবনপ্রাশে ব্যবহৃত প্রত্যেকটি সামগ্রী, স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। আমলকি ভিটামিন সি-এর উৎস। যষ্টিমধু, তুলসী, বাসক পাতা, আদা, মধু এবং অন্যান্য ভেষজ, জ্বর ও সর্দি-কাশির সংক্রমণ ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা দূরে রাখতে সহায়তা করে। নাগকেশর, তেজপাতা, দারুচিনি হজম শক্তি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সহায়তা করে। মেটাবলিজম বাড়ায় এবং হাড় শক্ত করে। নিম এবং হলুদ অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে। চবনপ্রাশে থাকা তুলসী এবং হলুদের মতো উপাদান রক্ত পরিশোধক হিসেবেও কাজ করে। শুধু তাই নয়, চবনপ্রাশে থাকা ব্রাহ্মী স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।

Advertisement

প্রতিদিনি কেন চ্যবনপ্রাশ খাওয়া দরকার 
প্রাচীন উপাদান ও অনুপাত মেনে তৈরি চ্যবনপ্রাশ শরীরের জন্য রক্ষাকবচ তৈরি করতে পারে। এর হাজার উপকারিতা। আমলকি, লবঙ্গ, শতাবরী, বিদরিকাণ্ড, হরতুকি, কন্টকরি, কাকদাশিঙ্গি, ভূম্যআমলকি, বাসক, পুষ্করমূল, শালপর্ণীর মতো বহু উপকারী ভেষজের সাহায্যে তৈরি আয়ুর্বেদিক এই মিশ্রণ শুধুমাত্র যে সর্দি-কাশি-জ্বর দূর করে তা নয়, বদহজম, পিত্তদোষ, প্রস্রাবের প্রদাহ ইত্যাদি বিভিন্ন ব্যাধিও দূর করতে সক্ষম।

একনজরে দেখে নেওয়া যাক এর কাজগুলি 

  • শ্বাসতন্ত্রকে পরিষ্কার করে। 
  • হজমশক্তি উন্নত করে। 
  • কমায় কোষ্ঠকাঠিন্য। শক্তি বাড়ায়। 
  • রক্ত বিশুদ্ধ করে। ফলে ত্বকও ভালো হয়। 
  • কর্মশক্তি বা এনার্জি বৃদ্ধি করে।
  •  চুলের স্বাস্থ্য অটুট রাখে।
  •  মনঃসংযোগে সমস্যাতেও কার্যকর। 
  • যে কোনও ধরনের সংক্রমণ আটাকেত শরীরের সবচেয়ে বড় রক্ষাকবচ।

দুধ না জল? কী দিয়ে খাবেন চ্যবনপ্রাশ 
আট থেকে আশি সব বয়সের মানুষই নিশ্চিন্তে এই চ্যবনপ্রাশ খেতে পারে। নানা ভাবে চ্যবনপ্রাশ খাওয়া যায়৷ তবে আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, খাওয়ার উপযুক্ত সময় সকালবেলা। কোনও সমস্যা না থাকলে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ১০ গ্রাম বা ১ চামচ চ্যবনপ্রাশ খাওয়া যায়৷ এমনি খেতে পারেন বা গরম দুধ অথবা জলের সাথে মিশিয়েও খেতে পারেন। অনেকে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে চ্যবনপ্রাশ খান৷ তবে যাঁরা হাঁপানি বা অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রের রোগের সমস্যায় ভুগছেন তাঁদের এটি হালকা গরম জলের সাথে খাওয়া দরকার। এবং এই সময় দুধ, দই এড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। সদ্যোজাত শিশু ছাড়া যে কোনও বয়সি মানুষ বছরভর চ্যবনপ্রাশ খেতে পারবেন৷

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement