গরমে শরীরকে সুস্থ রাখতে নারকেল জলের বিকল্প নেই। বহুজাতিক সংস্থার নরম পানীয় না খেয়ে নারকেল জল খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। নিমেষে শরীরকে হাইড্রেট তো করেই আরও বহু ফায়দা রয়েছে নারকেল জলের। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ পাওয়া যায়। এছাড়া অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, অ্যামিনো অ্যাসিড, এনজাইম, বি-কমপ্লেক্স ভিটামিন, ভিটামিন-সি থাকে নারকেল জলে। নারকেল জল নিয়মিত খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দৃঢ় করে। প্রতিদিন নারকেল জল খেলে শরীর হাইড্রেট থাকে। স্বাভাবিক থাকে গ্লুকোজের মাত্রাও। আসুন জেনে নেই নারকেল জলপানের উপকারিতা
ওজন কমাতে সহায়ক- আপনি যদি ওজন কমানোর চেষ্টা করেন, তাহলে অবশ্যই আপনার ডায়েটে রাখুন নারকেল জল। নারকেল জলে ক্যালরির পরিমাণ খুবই কম। এটা খাওয়ার পর জাঙ্ক ফুড খাওয়ার ইচ্ছাও কমে যায়।
হজমে সাহায্য- নারকেলে থাকে এনজাইম। তা হজমে সক্ষম। এতে বাড়ে মেটাবলিজম। শরীরের মেদ ঝরাতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে হজমেও সাহায্য করে। ওজন কমানোর সঙ্গে শরীরের পাচনতন্ত্রকে সচল করে তোলে নারকেল জল।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে সুদৃঢ় করে- খুব কম মানুষই জানেন যে নারকেলের জলে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ভাইরালের গুণাগুণ। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা মজবুত করার পাশাপাশি নানা ধরনের সংক্রমণ থেকেও রক্ষা করে।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে- যাঁদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের খাদ্যতালিকায় নারকেল জল অবশ্যই রাখা উচিত। নারকেলের জল খেলে রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে। এতে থাকা ভিটামিন-সি, ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাশিয়াম রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
উজ্জ্বল ত্বক- নারকেল জলে থাকে ভিটামিন বি এবং সি। ফলে শুধুমাত্র স্বাস্থ্যের জন্যই নয়, ত্বককে সুন্দর করতেও কাজ করে। যাদের মুখে ব্রণ আছে, তাঁরা রাতে নারকেল জল মুখে লাগিয়ে ঘুমোন। এবং সকালে উঠে মুখ ধুয়ে নিন। এতে ব্রণর সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তি মিলবে।নারকেল জল খেলে শরীর হাইড্রেট থাকে। ফলে ত্বক শুষ্ক হয় না। উজ্জ্বল হয়। নারকেলে থাকে প্রাকৃতিক কোলাজেন। কোলাজেন ত্বককে বুড়িয়ে যেতে দেয় না। ফলে বয়স বাড়লেও ত্বক দেখে বোঝার উপায় থাকবে না।
কিডনির জন্য উপকারি- নারকেলের জলে রয়েছে বিবিধ খনিজ, পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়াম। যা কিডনির সমস্যা দূর করতে কার্যকর।
আরও পড়ুন- ডায়াবেটিসের এই লক্ষণগুলি দেখা দিলেই ৪ আয়ুর্বেদিক টোটকায় মুক্তি