নিত্যদিনের ডায়েটে যে ফলটি সবচেয়ে বেশি দেখা যায়, তা হল শসা। আসলে শসা খুবই পরিচিত একটি ফল। প্রায় সব ঋতুতেই এটি পাওয়া যায়। শসা খেলে একদিকে যেমন শরীরে সতেজতা আসে, অন্যদিকে তেমনই পেটও ঠান্ডা হয়। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করেন শসার পাশাপাশি এর বীজেও প্রচুর পুষ্টি রয়েছে। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, মিনারেল এবং ফাইবার, যা ত্বক ও চুলের জন্যও খুবই উপকারী।
এছাড়া শসাকে ডায়েটের অন্তর্ভুক্ত করলে ওজন কমাতেও সাহায্য করে। শসায় থাকা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে খুব সহজেই মুক্তি দেয়। এছাড়া শসা রক্তে সুগার লেবেলও নিয়ন্ত্রণে রাখে। তাই যে কোনও সুগারের রোগীর কাছেই শসা কার্যত ওষুধের মতো কাজ করে। তবে শসা খাওয়ার রয়েছে নির্দিষ্ট নিয়ম। আর সেই নিয়ম পালন করলে, তবেই মিলবে সম্পূর্ণ উপকার। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে খাবেন শসা।
১. আগেই বলা হয়েছে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে শসা। তাই ডায়েটে স্যুপের আকারে শসাকে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারেন। এই প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুগারের রোগীরা নিয়মিতভাবে শসার স্যুপ খেলে বিশেষ উপকার পাওয়া পাবেন। এটি খাওয়ার ফলে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। সময় কম থাকলে স্যালাডেও শসা খেতে পারেন। তাই সুগার নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতিদিন একটি করে শসা খাওয়া অভ্যাস করুন।
২. চোখ মানুষের খুবই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। আর এই চোখের স্বাস্থ্যের জন্যও শসা ভাষণ উপকারী। শসা খেলে একদিকে যেমন দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি পায়, অন্যদিকে তেমনই এটি কেটে চোখের উপর রাখলে কালো দাগও দূর হয়। এটি ক্লান্তি দূর করে এবং প্রাকৃতিক উপায়ে চোখকে শান্তি দেয়। এছাড়া চুল মজবুত করতেও শসা বিশেষভাবে কার্যকরী।
৩. শুধু চোখের উপরের কালো দাগ দূর করাই নয়, মুখের বলিরেখা দূর করার জন্যও শসা খাওয়া যেতে পারে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সৌন্দর্যের দিক থেকে শসার বীজ খুবই উপকারী। এটি নিয়মিত খেলে রোদে পোড়া, শুষ্ক ত্বক এবং ট্যানিং-এর সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন - সংবিধান না সংসদ, কোনটা সর্বোচ্চ? ধনখড়-মন্তব্যে সরব কংগ্রেস