Advertisement

করোনাকালেই ঘূর্ণিঝড়ের দাপট! জানেন কী কী রোগে ভুগতে পারেন?

করোনার মধ্যেই হাজির সাইক্লোন ইয়াস। যে কোনও ঝড়, বন্যার মতো প্রাকৃতির দুর্যোগের পর বেশ কিছু রোগের প্রাদুর্ভাব হয়।

সাইক্লোনের কারণে কোন কোন রোগ হতে পারে?
সৌমেন কর্মকার
  • কলকাতা,
  • 25 May 2021,
  • अपडेटेड 8:14 PM IST
  • করোনার সঙ্গে হাজির ঘূর্ণিঝড়ও
  • এতা করোনার প্রকোপ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা চিকিৎসকদের
  • ঘূর্ণিঝডড়ের প্রভাবেও বাড়তে পারে অসুখ

করোনার মধ্যেই হাজির সাইক্লোন ইয়াস। যে কোনও ঝড়, বন্যার মতো প্রাকৃতির দুর্যোগের পর বেশ কিছু রোগের প্রাদুর্ভাব হয়। এমনিতেই করোনার আতঙ্ক গ্রাস করেছে রাজ্যবাসীকে। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ২০ হাজারের আশপাশে ঘোরাফেরা করছে। চিকিৎসকদের একাংশের মতে, করোনাকালে গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো হাজির হয়েছে সাইক্লোন। যার জেরে আরও রোগ-ভোগ বাড়তে পারে। 

কী কী রোগ হতে পারে? 

পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ইয়াসের প্রভাব সবথেকে বেশি পড়বে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ওই ২ জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ইতিমধ্যেই কয়েক লাখ মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। চিকিৎসকদের আশঙ্কা, এই পরিস্থিতিতে গা ঘেঁষাঘেঁষি করে থাকলে সেই সব আশ্রিতদের করোনায় সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। রাজ্যের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সেল্টার হোমে সবাইকে মাস্ক পরতে বলা হয়েছে। কিন্তু, সেই নির্দেশিকা কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকরা। 

আরও পড়ুন : কাল থেকেই ভারতে বন্ধ হতে পারে ফেসবুক-ট্যুইটার!

চিকিৎসকদের মতে, একদিকে কোভিড-১৯ এর হুমকি এবং অন্যদিকে অনেক ঘরবাড়ি, ল্যাট্রিন ও জল সরবরাহ ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। এতে শিশুরা ডায়রিয়া এবং আমাশয়ের মতো  রোগে আক্রান্ত হতে পারে। শুধু শিশু নয়, বাড়ির বয়স্কদেরও আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। 

প্রবল বৃষ্টির জেরে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় জল জমতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই দিঘার একাধিক গ্রাম জলমগ্ন হয়েছে। চিকিৎসকদের মতে, এই জল নেমে যওয়ার পর কলেরা, টাইফয়েডসহ নানা রোগ হতে পারে। দেখা দিতে পারে চর্মরোগও। এছাড়াও ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গির মতো রোগেও আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। 

তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, সাইক্লোন আছড়ে পড়ার আগেই বিশুদ্ধ পানীয় জল বোতলে ভরে রাখুন। যদি আপনাকে অন্য কোথাও মাথা গোঁজার ঠাঁই নিতে হয়, তাহলে সেখানে সেই জল নিয়ে যায়। শিশুদের দিকে বাড়তি নজর দিন। 

Advertisement

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement