ডায়াবেটিস ক্রনিক অসুখ। খাওয়াদাওয়ার মাধ্যমে সুগার নিয়ন্ত্রণ করা যায়। ডায়াবেটিস রোগীরা না খেয়ে থাকলে পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে। ডায়াবেটিস রোগীদের আচমকা শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। অনেক সময় তা ৩০০ mg/dl পার করে দেয়। যা নিয়ন্ত্রণে আনা জরুরি। আচমকা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ার লক্ষণগুলি শরীরে দেখা দেয়। যেমন- ঘন ঘন প্রস্রাব, খিদে বাড়া, অতিরিক্ত তৃষ্ণা, ক্লান্তি, শুষ্ক মুখ এবং ক্ষত নিরাময়ে বিলম্ব।
খাওয়ার পরই যদি আপনার রক্তে শর্করা দ্রুত বাড়তে শুরু করলে ডায়েটে নজর দেওয়া দরকার। ডায়েটে ৩ ধরনের ডাল অন্তর্ভুক্ত করুন। তিন ধরনের ডাল রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে জাদুকরী কাজ করে। কিছু কিছু ডাল আছে যাতে প্রচুর পরিমাণে কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট থাকে, যে এই ডালগুলি ধীরে ধীরে হজম হয়। তাতে রক্তে শর্করার পরিমাণ স্বাভাবিক থাকে। কিছু ডাল আছে যার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম যা রক্তে শর্করাকে স্বাভাবিক রাখে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, কোন ডাল ডায়াবেটিস রোগী দুপুরের খাবার থেকে রাত পর্যন্ত খেতে পারেন।
দুই ধরনের মুগ ডাল- মুগ ডাল গোটা হোক বা তরকার, দুটোই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। যাঁদের খাওয়ার পর রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বেড়ে যায় তাঁদের সবুজ মুগ এবং হলুদ মুগ ডাল খাওয়া উচিত। এই ডালের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। যা রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণ করে।
ছোলার ডাল- যাঁদের রক্তে শর্করার পরিমাণ বেশি তাঁদের ডায়েটে ছোলার ডাল থাকা উচিত। ছোলার গ্লাইসেমিক সূচক ৪৩। যা রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণ করে। ফাইবার সমৃদ্ধ ছোলার ডাল ধীরে ধীরে রক্তে পুষ্টি শোষণ করে। ধীরে ধীরে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়ায়। দুপুরের খাবারে প্রোটিন সমৃদ্ধ ছোলার ডাল খান। সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
অরহর ডাল- দই এবং সবজির সঙ্গে খান এক বাটি অরহর ডাল। ফাইবার সমৃদ্ধ এই ডাল খেলে শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ হয়। দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা থাকে। ডায়াবেটিস রোগীরা ডায়েটে রাখুন অরহর ডাল।