Chirata For Diabetes: বর্তমান জীবনযাত্রায় দ্রুত বাড়ছে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা। আগের মতো তা আরও বেশি বয়সে সীমাবদ্ধ নেই। বরং কম বয়সেও রক্তে বাড়তে পারে সুগার। ডায়াবেটিসের সঙ্গে শরীরে বাসা বাঁধে কোলেস্টেরল, হার্টের সমস্যার মতো অসুখ। তাই মধুমেহকে নির্মূল করতে হবে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য শুরুতেই ওষুধ না খেয়ে ভরসা রাখুন প্রাকৃতিক উপায়ে। যা খেলে আপনি ডায়াবেটিসের প্রকোপ থেকে বাঁচতে পারবেন। সেই সঙ্গে খাদ্যাভ্যাসও ঠিক করা দরকার। আর এক জায়গায় বসে না থেকে চলাফেরা করুন। দরকারে সপ্তাহে অন্তত তিন দিন শরীরচর্চা করা দরকার।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রয়েছে প্রাকৃতিক উপায়। এমন একাধিক ভেষজ রয়েছে আয়ুর্বেদে। যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কার্যকর। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) ২১ হাজার গাছকে ওষুধ হিসেবে ধরেছে। যা বড় বড় রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। এর মধ্যে একটি হল চিরতা। যা ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত কার্যকর। চিরতাকে অ্যান্টি-ডায়াবেটিকও বলা হয়। চিরতার এমন গুণের সঙ্গে বাংলার মানুষ আগে থেকেই পরিচিত। বহু বাড়িতেই এককালে সকালে খাওয়া হত চিরতার জল। তবে সময়ের সঙ্গে তার বদল হয়েছে। কিন্তু সময় বদল হলেও চিরতার গুণ এতটুকুও কমেনি। বরং আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সংস্থাও তা স্বীকার করে নিল।
চিরতা কেন কার্যকর?
ভেষজ খুব তাড়াতাড়ি প্রাকৃতিক উপায়ে বিভিন্ন রোগের প্রতিকার করে। তেমনই চিরতা সুগার রোগীদের জন্য আশীর্বাদের মতো। চিরতার পাতা, বাকল, শিকড় এবং কান্ড যে কোনও কিছু খাওয়া যেতে পারে। এটি সহজেই রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণ করে। বিবিধ গুণে ভরপুর এই উদ্ভিদ।
চিরতায় বায়োঅ্যাকটিভ যৌগ আমরোংটান পাওয়া যায়, যা অ্যান্টি-ডায়াবেটিক হিসেবে কাজ করে। এতে হাইপোগ্লাইসেমিক গুণ পাওয়া যায়। ডায়াবেটিস রোগীরা যা খেলে উপকার। সুগারের রোগীরা চিরতা খেলে শরীরে স্বাভাবিকভাবেই ইনসুলিন তৈরি হয়। এমনকি উন্নত হয় মেটাবলিজমও।
যেভাবে চিরতা খাবেন
চিরতার পাতা খান বহু মানুষ। বাংলায় অনেক আগে থেকে চিরতায় ভেজানো জল খাওয়ার চল রয়েছে। যাকে স্বীকৃতি দিয়েছে বিশ্ব সংস্থা সংস্থাও। রাতে এক গ্লাস জলে ভিজিয়ে রাখুন চিরতা। সকালে খালি পেটে সেই জল ছেঁকে খেয়ে নিন। এক সপ্তাহ টানা খেলেই ফায়দা চোখের সামনে দেখতে পাবেন। হু হু করে কমে যাবে সুগার।
আরও পড়ুন- সর্দি-কাশি ও বুকে কফের সমস্যায় জেরবার? এই ৭ খাবারে নিমেষে মুক্তি