ফল স্বাস্থ্যের জন্য সম্পদ। ফল পুষ্টিতে ভরপুর। এতে রয়েছে ভিটামিন ও বিবিধ খনিজ। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ফল। এমন কিছু ফলও রয়েছে, যা খেলে সুগার আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। পুষ্টিবিদদের মতে,ডায়াবেটিস রোগীদের কয়েকটি ফল খাওয়ার সময় একটু সতর্ক হওয়া উচিত। কারণ কিছু ফল এমন যেগুলি খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ বেড়ে যেতে পারে। স্বাস্থ্যের জন্য তা উপকারী হলেও রক্তে সুগার মিশিয়ে দেয়।
চিনি বা যে কোনও মিষ্টি জিনিস সুগারের রোগীদের জন্য 'বিষ'। কারণ তা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। কিছু ফলও খুব মিষ্টি হয়। এ কারণেই ডায়াবেটিস রোগীদের ফল খাওয়ার সময় সতর্ক থাকতে হবে। সুগারের রোগীদের ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া এই ফলগুলি একদম খাওয়া উচিত নয়। এগুলি সুগার স্পাইকের ঝুঁকি বাড়ায়।
১।তরমুজ- গরমকালে মানুষের সবচেয়ে প্রিয় ফল তরমুজ। তরমুজ শুধু খেতেই সুস্বাদু নয়, শরীরকে হাইড্রেট রাখে। এছাড়া পুষ্টিগুণ তো আছেই। তবে ডায়াবেটিস থাকলে একেবারে তরমুজ খাওয়া উচিক নয়। কারণ তরমুজে রয়েছে উচ্চ পরিমাণে প্রাকৃতিক চিনি, যা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।
২। কলা-কলার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশি। এটি অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ক্ষতিকর। তবে কলা খাওয়ার সময় যদি পেস্তা, আখরোট এবং বাদাম খাওয়া হয়, তাহলে রক্তে শর্করার মাত্রা তেমন একটা প্রভাবিত হয় না। টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগীরা কলা দই মিশিয়ে খেতে পারেন। তবে অতিরিক্ত কলা খাওয়া ঠিক নয়।
৩। আম- ফলের রাজা আম। তবে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য তা বিষ। গরমকালে সবাই আম খেতে ভালবাসেন। তবে আমে প্রচুর মিষ্টি থাকে। যা সুগার রোগীদের খাওয়া উচিত নয়। ডায়াবেটিস না থাকলেও বুঝেশুনে আম খাওয়া উচিত। প্রচুর পরিমাণে আম খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ করে বেড়ে যেতে পারে।
৪। আনারস-আনারস ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য 'বিষ ফল'। এতে ১৬ গ্রাম পর্যন্ত প্রাকৃতিক চিনি থাকে। যা স্বাস্থ্যের জন্য ঠিক নয়।
৫। লিচু- গরমকালে মেলে লিচুও। লিচুও মিষ্টি ফল। এতে থাকে ১৬ গ্রাম পর্যন্ত চিনি। এই রসালো ফলটিতে। ডায়াবেটিস রোগীদের লিচু খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। যাঁদের ডায়াবেটিস নেই তাঁরা অল্প খান।
৬। সবেদা- ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সবেদা খাওয়া বিপজ্জনক হতে পারে। সবেদার গ্লাইসেমিক সূচক অন্যান্য ফলের তুলনায় বেশি। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াতে পারে সবেদা। এর পাশাপাশি সবেদায় ক্যালোরিও বেশি। তাই এই ফল এড়িয়ে চলা দরকার।