How To Prevent Constipation: ইংরেজি টয়লেটের প্রবণতা বর্তমানে অনেক বেড়েছে। আরামদায়ক এবং সুবিধাজনক হওয়ায় এটি প্রতিটি বাড়িতেই দেখা যাচ্ছে। কিন্তু আপনি জানলে অবাক হবেন এর কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে এবং পরবর্তীতে রক্তাক্ত পাইলসও তৈরি হতে পারে।
ডায়েটিশিয়ানরা জানিয়েছেন, পেট পরিষ্কার করার স্বাভাবিক পজিশন হল স্কোয়াট (চাপ দিয়ে বসা)। যার ফল মলদ্বার সোজা হয়ে যায় এবং পিউবিক পেশী শিথিল হয়। যার কারণে সহজে মল বের হয়। কিন্তু ওয়েস্টার্ন টয়লেটে এই অবস্থান খারাপ হয়ে যায় এবং পেট পরিষ্কার করতে অসুবিধা হয়।
কয়েকদিন ধরে পেট পরিষ্কার না হওয়া কোষ্ঠকাঠিন্যের লক্ষণ। যা সময়মত নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কোষ্ঠকাঠিন্য এড়াতে এবং তা দূর করতে ডায়েটিশিয়ানরা দিয়েছেন ডায়েট প্ল্যান। আসুন জেনে নেওয়া যাক কোষ্ঠকাঠিন্যে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কী কী খাওয়া উচিত?
কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দেয় এমন খাবার
খালি পেটে তুলসী বীজের জল পান করুন
তুলসীর বীজে দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় ফাইবার থাকে, যা কোলন পরিষ্কারের প্রক্রিয়াকে সহজ করে। সকালে খালি পেটে এক গ্লাস জলে এক চামচ তুলসী বীজ খেতে হবে।
দুপুর ১২টায় খান ডুমুর ভেজানো ও শুকনো আলু বোখারা
শুকনো ডুমুরে ফিসিনের মতো এনজাইম থাকে যা প্রাকৃতিক রেচক হিসেবে কাজ করে। অন্যদিকে, ড্রাই আলু বোখারার ভিতরে রয়েছে ফাইবার এবং সরবিটান, যা মলকে নরম করে এবং তা বের করে দিতে সাহায্য করে। আপনি এগুলো রাতে ভিজিয়ে রেখে পরের দিন বেলা ১২টায় খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময় হবে ।
সন্ধ্যায় গন্ড বা ভোজ্য আঠা
কোষ্ঠকাঠিন্যেগন্ড বা ভোজ্য আঠা খুবই উপকারী। এতে দ্রবণীয় ফাইবার রয়েছে, যা মলকে নরম করে এবং অন্ত্রের বাইরে যেতে সাহায্য করে। আপনি বিকাল ৪টায় এক গ্লাস জলে ১ চামচ গন্ড বা ভোজ্য আঠা মিশিয়ে পান করুন।
রাতে কিশমিশ ভিজিয়ে খান
ভেজানো শুকনো কিশমিশকে কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য একটি ওষুধ বলা হয় । এর ফাইবার মলকে নরম করে এবং হজমশক্তিকে শক্তিশালী করে। যার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য শেষ হয়। আপনি রাতের খাবারের পরে প্রায়১২ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখা শুকনো কিশমিশ খান।
Disclaimer: এই নিবন্ধটি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য। এটি কোনোভাবেই কোনো ওষুধ বা চিকিৎসার বিকল্প হতে পারে না। আরও বিস্তারিত জানার জন্য সর্বদা আপনার ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন।