Kansa Benefits: কাঁসার (Kansa) থালায় পাত পেরে খাওয়ার দিন এখন অতীত। হাল ফিলে জন্মদিন কিংবা বড় কোনও অনুষ্ঠানে বাড়ির আলমারি থেকে বের হয় কাঁসার বাসন (Kansa Utensils)। পুজোর ভোগ রান্না করতে কাঁসার বাসন ব্যবহার করা হয়। এমনকি ঠাকুরকে ভোগ দিলেও কাঁসার বাসন সবথেকে পুণ্যের বলা হয়।
পুজোয় স্টিল বা কাঁচ ব্যবহার করতে নেই। আর প্রতিদিন স্টিল বা প্লাস্টিকের থালাতে খাওয়া হয় তা বিষের সমান। প্লাস্টিকের থালায় তো ভুলেও খাওয়া উচিত নয়। এতে ক্যানসার, স্ট্রোক, হাইপারটেনশন, ডায়াবিটিসের মতো নানা অসুখ হতে পারে।
বলা হয়, তামার (Brass) পাত্রে জল পান করা এবং খাবার খাওয়া নিরাপদ বলে মনে করা হয়, তবে এই ধাতুটিকে উচ্চ তাপমাত্রায় গরম করা উচিত নয়। উচ্চ তাপে তামার পাত্রে লবণ ও অ্যাসিড মিশে গেলে অনেক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ তৈরি হতে থাকে। তাই তামার বাসন ব্যবহার করলে এগুলি মনে রাখবেন।
খাওয়ার জন্য কাঁসার বাসন অন্যতম সেরা বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। কাঁসার বাসনে রান্না করলে খাবারে আম্লিকভাব কমে যায়৷ পাশাপাশি, এই বাসনে রান্না করা খাবার হজমেও সহায়তা করে৷ থাইরয়েড ব্যালান্স করতে সাহায্য করে। ইনফ্লেম্যাশন কমিয়ে স্মৃতিশক্তি উন্নত করে।
নিয়মিত কাঁসার পাত্রে খেলে শরীরে তামা বা কপারের মাত্রা বাড়তে শুরু করে। ফলে শরীরে কোষের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। আয়রনের শোষণ হারও বৃদ্ধি পায়। ফলে লোহিত রক্ত কণিকার উৎপাদন বেড়ে যায়। অ্যানিমিয়ার রোগ হয় না। ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে থাকে। ক্যান্সার রোধ করে। আর্থ্রাইটিস দূরে রাখে। লিভার সুস্থ রাখে। ওজন হ্রাসে সহায়ক কাঁসা।