খুব কম মানুষই জানেন যে খাবার খেলে ওজন বাড়ে না। ওজন বৃদ্ধির আরও অনেক কারণ রয়েছে। যার মধ্যে বিশৃঙ্খল জীবনযাপন, খাবারে অসাবধানতা এবং ব্যায়ামের অভাব সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কারণ। তবে খাওয়ার মাধ্যমেও ওজন কমানো যায় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
তাজা ফল, শাকসবজি, বাদাম এবং ডাল ও বিনস এমন কিছু খাবার যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। এগুলো খেলে একদিকে যেমন ওজন কমে, তেমনি শরীরের পুষ্টিতেও কমতি হয় না।
পুষ্টিবিদরা বলছেন, আপনি যত বেশি পুষ্টিকর খাবার খাবেন, তত স্লিম হবেন। এছাড়াও আপনি নিজেকে ক্ষুধার্ত অনুভব করবেন না।
আপনি যদি সত্যিই ওজন কমাতে চান, তাহলে আপনার খাদ্যতালিকায় এমন সব জিনিস রাখুন যাতে প্রচুর পুষ্টি থাকে। এতে প্রোটিন ও ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা উপকারী। এগুলো খেলে শরীরের মেটাবলিজম প্রক্রিয়া ঠিক থাকে। তবে এসবের পাশাপাশি খেয়াল রাখতে হবে যে আপনি যা খাবেন তাতে যেন সুষম পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট এবং ফ্যাট থাকে।
১. অর্গানিক প্রোটিন- কার্বোহাইড্রেট হজম করার চেয়ে প্রোটিন হজম করতে বেশি ক্যালোরি খরচ হয়। এই ক্ষেত্রে, অর্গানিক প্রোটিন খাওয়া যেতে পারে।
২. নারকেল-নারকেলে রয়েছে মিডিয়াম-চেইন ফ্যাটি অ্যাসিড যা শরীরে জমা হয় না এবং খুব দ্রুত ভেঙে যায় এবং শরীরে শক্তি জোগাতে কাজ করে।
৩. মাছ- টুনা এবং স্যামন খাওয়ার ফলে, বিপাক সক্রিয় থাকে।
৪. গ্রিন টি - গ্রিন টি-তে ক্যাটেচিন (catechin) নামক একটি সক্রিয় উপাদান পাওয়া যায়। এছাড়াও এতে উপস্থিত ক্যাফেইনের পরিমাণও মেটাবলিজম সচল রাখতে সহায়ক।
৫. সবুজ পাতা এবং শাক - পালং শাক এবং ব্রকলির মতো ঘন সবুজ পাতায় পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার থাকে। যা ওজন কমাতে খুবই সহায়ক।
৬. দারুচিনি- প্রধানত ভারতীয় খাবারে ব্যবহৃত এই বিশেষ মশলাটি বিপাকীয় প্রক্রিয়ার জন্য খুবই উপকারী।
৭. টমেটো- টমেটো ওজন কমাতে খুবই কার্যকরী একটি উপায়। এটি মেটাবলিজম প্রক্রিয়াকেও সচল রাখে।