মাছে-ভাতে বাঙালি। মাছ ছাড়া বাঙালিদের খাওয়া যেন অসম্পূর্ণ। অফিস যাওয়ার আগে গরম ভাতের সঙ্গে মাছের পদ না থাকলে মেজাজ খারাপ হয়ে যায় বহু ঘরকর্তারই। আবার দুপুর রোদে পিঠ ঠেকিয়ে কুঁচো মাছের বাটি চচ্চড়ি তাড়িয়ে তাড়িয়ে খেতে পছন্দ অনেক গিন্নিরই। বড় মাছ খেতে তো ভাল লাগেই আর তা বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। কিন্তু অনেকেই রয়েছে যাঁরা কুচো মাছ খেতে ভালবাসেন। আবার অনেকে একদমই ভালোবাসেন না এই কুচো মাছ। কিন্তু এই মাছের গুণাগুণ প্রচুর। জানলে অবাক হবেন।
আমুদি মাছ
সর্দি কাশিতে উপকারী। আমুদি মাছে আছে প্রচুর ভিটামিন সি। আমুদি মাছে আছে প্রচুর প্রোটিন। ছোট-বড় সকলের জন্যই উপকারী। ফ্যাট প্রায় নেই বললেই চলে। রয়েছে ওমেগা থ্রি, ফ্যাটি অ্যাসিড, যা আপনার হৃৎপিণ্ডকে ভাল রাখে। ক্যান্সারের মতো রোগ প্রতিরোধেও উপকারী এই মাছ। কারণ এতে আছে অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট। চোখের দৃষ্টি স্বচ্ছ করে। উপকারী সন্তানধারণের সময়েও।
পুঁটি মাছ
পুঁটি মাছে ক্যালোরির পরিমাণ বেশি। প্রতি মাছে রয়েছে প্রায় ১০৬ ক্যালোরি শক্তি। সারাদিন ধরে কাজ করার এনার্জি জোগাতে পারে সামান্য এই পুঁটি মাছ। এছাড়াও, এই মাছেল রয়েছে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন এবং ক্যালসিয়াম। যার জন্য এই মাছ খেলে হাড় ও পেশির শক্তি বাড়ে। এছাড়াও, ছোট মাছ হওয়ায় এতে রয়েছে আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট। যা হার্টকে ভাল রাখতে সাহায্য করে।
ট্যাংরা মাছ
ট্যাংরা মাছও প্রচুর শক্তির উৎস। একটি মাছ থেকে মেলে প্রায় ১৫০০ ক্যালোরি শক্তি। এছাড়া, প্রোটিন এবং ক্যালসিয়াম থাকার পাশাপাশি রয়েছে আয়রন। রক্তাল্পতায় ভোগা রোগীদের জন্য অত্যন্ত উপকারী খাবার ট্যাংরা।
মৌরলা
রাতকানা রোগ সারিয়ে দিতে পারে মৌরলা মাছ। ভিটামিন এ-তে ভরপুর এই মাছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। হার্টের জন্য খুব উপকারী এই মাছ। এছাড়াও ক্যালসিয়ামে ভরপুর বলে দাঁত ও হাড় মজবুত হয়।
ফলি
ফলি মাছেও রয়েছে প্রচুর প্রোটিন ও আয়রন। একদিকে যেমন রক্ত তৈরি করতে সাহায্য করে এই মাছ। অন্যদিকে, পেশিও মজবুত করে। এর মধ্যেও রয়েছে ভিটামিন এ ও ফসফরাস।
কাচকি মাছ
ছোট্ট এই মাছেও রয়েছে ভরপুর প্রোটিন। রয়েছে ক্যালসিয়াম ও আয়রনও। চোখ ভাল রাখতে কাচকি মাছের জুড়ি মেলা ভার।