How To Relieve Gas And Bloating: পেটে গ্যাস হওয়া একটি সাধারণ সমস্যা কিন্তু সব সময় এটি থাকা খুবই অস্বস্তিকর হতে পারে। গ্যাস্ট্রিক সমস্যায় আক্রান্তরা প্রায়ই অস্বস্তি, ব্যথা অনুভব করেন। তারা ঢেকুর, ঘন ঘন গ্যাস বের হওয়া, পেটে ব্যথা, ক্র্যাম্পিং , পেট ফাঁপা বা ফোলাভাব, বুকজ্বালা, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদির মতো উপসর্গগুলি অনুভব করতে পারেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে , গ্যাস এবং এর সঙ্গে সম্পর্কিত উপসর্গগুলির জন্য বিভিন্ন ওষুধ রয়েছে তবে ওষুধের পাশাপাশি আপনাকে আরও ভাল লাইফস্টাইল গ্রহণ করতে হবে। জেনে নিন এমন পরিস্থিতিতে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কী ধরনের খাদ্য গ্রহণ করা উচিত এবং কী করা উচিত।
সকালে কী করতে হবে
- সকালে ঘুম থেকে উঠুন আরামে কারণ হঠাৎ ঘুম থেকে উঠলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বাড়তে পারে।
- রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে এবং পেশী শিথিল করতে গভীর শ্বাস নিন।
- কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে এক গ্লাস গরম জল লেবু দিয়ে খান।
আপনার ব্রেকফাস্ট কী হওয়া উচিত
- সকালের ব্রেকফাস্টে এমন জিনিস থাকা উচিত, যা সহজে হজম হয়।
- সকালের ব্রেকফাস্টে ডালিয়া, দই ও ফল অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।
- হজমে সাহায্য করার জন্য খাবার ভালোভাবে চিবিয়ে খান এবং ধীরে ধীরে খান।
- অতিরিক্ত খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
দিনের বেলা কী করতে হবে
- একসঙ্গে বেশি খাবারের পরিবর্তে দিনে কয়েকবার ভেঙে ভেঙে খাবার খান।
- অল্প খাওয়া ভালো মেটাবলিজম বজায় রাখতে সাহায্য করে।
- খাবার ভাল ভাবে চিবিয়ে খান এবং তাড়াহুড়ো করে খাবেন না।
- সারাদিনঅল্প অল্প করে জল পান করুন। হাইড্রেটেড থাকা গ্যাস্ট্রিক ফ্লেয়ার-আপ প্রতিরোধে সাহায্য করে অন্ত্রের গতিবিধি বাড়ায়।
- আপনার রুটিনে ভেষজ চা যেমন ক্যামোমাইল, পেপারমিন্ট এবং আদা চা অন্তর্ভুক্ত করুন।
সন্ধ্যায় কী করতে হবে
সন্ধ্যায় হালকা ব্যায়াম করুন, যেমন হাঁটা বা যোগব্যায়াম। এটি হজমশক্তি বাড়ায় এবং চাপ কমায়।
রাতে কী করতে হবে
- রাতে সহজে হজমযোগ্য খাবার খান।
- ডায়েটে লো প্রোটিন, সেদ্ধ সবজি এবং ফাইবার অন্তর্ভুক্ত করুন।
- ঘুমের সময় অ্যাসিড রিফ্লাক্স প্রতিরোধ করতে ভারী এবং চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
- খাওয়ার পর অন্তত তিন ঘণ্টা পরে ঘুমোন
- আপনার মনকে শান্ত করতে শোয়ার আগে গভীর শ্বাসের ব্যায়াম, ধ্যান বা উষ্ণ স্নানের চেষ্টা করুন।
- ঘুমনোর সময় আপনার শরীরের উপরের অংশটি উঁচু করার জন্য একটি বালিশ ব্যবহার করুন
Disclaimer: এই নিবন্ধটি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য। এটি কোনোভাবেই কোনো ওষুধ বা চিকিৎসার বিকল্প হতে পারে না। আরও বিস্তারিত জানার জন্য সর্বদা আপনার ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন।