শ্রীমদ্ভগবত গীতা। এতে আছে জীবনের সার। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধক্ষেত্রে অর্জুনকে জীবনদর্শন দিয়েছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। গীতার সেই শিক্ষাই জীবনের পথ। মহাভারতের যুদ্ধের সময় অর্জুনকে শিক্ষা দিয়েছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। গীতার সেই শিক্ষাগুলি আজও প্রাসঙ্গিক। মানুষকে জীবনযাপনের সঠিক পথ দেখায় গীতা। গীতার বাণী মনেপ্রাণে নিলে উন্নতি লাভ করেন বহু মানুষ। গীতায় ঠিক ঠিক কী কী কথা বলেছেন কৃষ্ণ? জানলে রাগ ও ঈর্ষাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। মন থাকবে প্রফুল্লিত।
মন অস্থির কেন- শ্রীকৃষ্ণ শ্রীমদ্ভগবত গীতায় বলেছেন,যে ব্যক্তির মনে ঈর্ষার থাকে, তিনি সর্বদা অস্থির থাকেন। কাউকে নিয়ে ঈর্ষা করলে কখনও শান্তিতে কেউ থাকতে পারে না।
আবেগমুক্ত হয়ে কাজ- শ্রীকৃষ্ণ বলছেন, ব্যক্তি যদি কোনও কাজ করতে ভয় পান, তাহলে কাজটি সত্যিই সাহসী। সেই ভয়কে জয় করেই কাজ করতে হবে। আবেগমুক্ত হয়ে কাজ করলেই মেলে সাফল্য।
ঈশ্বরে ভরসা- গীতার মতে, আমরা কেবল চোখ দিয়ে দেখি না। কখন কার মধ্যে কী দেখি, তা নির্ভর করে আমাদের অনুভূতির উপর! শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন যে মানুষের উচিত নিজেকে ঈশ্বরে বিলীন করা। ঈশ্বর ছাড়া মানুষের কেউ নেই।
ত্যাগেই সুখ- ত্যাগের মধ্যে স্থায়ী সুখ লুকিয়ে আছে। ভোগ থেকে যে সুখ আসে তা ক্ষণস্থায়ী। কর্মের কারণে মানুষ খারাপ সঙ্গে পড়ে।
দৃঢ়সংকল্প- গীতার মতে জয়-পরাজয় নির্ভর করে আপনার চিন্তার উপর। আপনি যদি কোনও কাজ শুরু করার সময় সম্পূর্ণ মনোনিবেশ না করা হয় তাহলে তাতে অসফল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আপনি যখন জয়ের দৃঢ় সংকল্প নিয়ে শুরু করেছেন, তখন অবশ্যই বিজয় পাবেন।