ঘি ভারতীয় উপমহাদেশে উদ্ভূত হওয়া পরিশোধিত মাখন। খাবারের স্বাদ- গন্ধ বৃদ্ধিতে রান্নায় ঘি বহুদিন ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। রান্নায় স্বাদ বাড়াতে ঘি-এর তুলনা নেই। স্বাদ ছাড়াও ঘি-এর অনেক উপকারিতা রয়েছে।
প্রাচীনকাল থেকে ঘি নানা কাজে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। প্রাচীনকালে শুধুমাত্র ঘি দিয়ে খাবার রান্না করা হত যার ফলে মানুষের স্বাস্থ্য খুবই সুস্থ থাকত। আয়ুর্বেদে ঘিকে সুপারফুডের তকমা দেওয়া হয়। এতে নিরাময়কারী উপাদান বর্তমান।
বেশ কিছুদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় খালি পেটে এক চামচ দেশি ঘি খাওয়ার উপকারিতা নিয়ে কথা বলতে দেখা যাচ্ছে বহু নেটিজেনকে। বলিউডের বড় নায়িকা থেকে শুরু করে, সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সাররা রয়েছেন সেই তালিকায়। এতে উপস্থিত ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ভিটামিন এ আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।
সকালে খালি পেটে ঘি
ঘি হজমের জন্য উপকারী পুষ্টিগুণে ভরপুর। এটি পাকস্থলী ও হজমশক্তিকে শক্তিশালী করে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক চামচ ঘি খেলে হজম প্রক্রিয়ার উন্নতি ঘটে। পেট সুস্থ রাখার সঙ্গে ঘি খাওয়ার গভীর সম্পর্ক রয়েছে। প্রাচীনকালে, আমাদের পূর্বপুরুষরা প্রতি খাবারের আগে এক চামচ ঘি খেতেন। এটি পেটকে সুস্থ রাখে এবং আলসার এবং ক্যান্সারের মতো রোগের ঝুঁকিও কমিয়ে দেয়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
ঘি বিউটারিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ যা শরীরকে রোগ প্রতিরোধকারী টি-কোষ তৈরি করতে সাহায্য করে। অতএব, এর ব্যবহার আপনার শরীরকে রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করতে পারে।
ওজন কমানো
ঘি ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। এটি পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করে। কারণ এটি মেটাবলিজমকে ত্বরান্বিত করে যা, শরীরের ফ্যাট বার্ন করতে সাহায্য করে। সকালে খালি পেটে ঘি খেলে খিদে নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং এভাবে বারবার খাবার খাওয়া এড়াতে যায়।
চুল ভাল রাখে
ঘিতে রয়েছে ভিটামিন ই যা, চুল ও মাথার ত্বকের জন্য খুবই ভাল। এটিতে ময়শ্চারাইজিং বৈশিষ্ট্য রয়েছে, তাই এটি স্ক্যাল্পের শুষ্কতা এবং চুলকানির মতো সমস্যাও কমায়।
ত্বকের জন্য দারুণ
ঘিতে উপস্থিত ভিটামিন ত্বককে টানটান রাখে এবং বার্ধক্য থেকে রক্ষা করে। প্রাচীনকালে এটি সৌন্দর্য বজায় রাখতে ব্যবহৃত হত। এটি মুখে লাগালে ত্বক নরম থাকে এবং উজ্জ্বল হয়।
হাড় মজবুত করে
ঘি হাড়কেও শক্তিশালী করে। কারণ এটি ভিটামিন কে সমৃদ্ধ যা, ক্যালসিয়াম শোষণে সাহায্য করে। এটি দাঁতের ক্ষয় রোধ করতে সাহায্য করে এবং অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস প্রতিরোধ করে।