Advertisement

CT Scan For Corona Patient: 'সামান্য COVID উপসর্গ থাকলে X-Ray করান, CT স্ক্যান নয়,' বলছেন AIIMS অধিকর্তা

সামান্য জ্বর বা উপসর্গ থাকলেই অনেকে সিটি স্ক্যান করাতে ছুটছেন। তবে নিজেদের অজান্তেই তাঁরা ডেকে আনছেন ক্যানসারের ঝুঁকি। সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন খোদ এইমস অধিকর্তা ড. রণদীপ গুলেরিয়া। তিনি জানান, অনেকেই এ সময় অকারণে সিটি স্ক্যান করাতে ছুটছেন। এতে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ছে তাঁদের শরীরে।

এইমস অধিকর্তা রণদীপ গুলেরিয়াএইমস অধিকর্তা রণদীপ গুলেরিয়া
Aajtak Bangla
  • নয়াদিল্লি,
  • 03 May 2021,
  • अपडेटेड 8:29 PM IST
  • রেডিশনের একটি ডেটা বিশ্লেষণ করে জানা গিয়েছে, অনেকে তিন দিনের মধ্যে পর পর সিটি স্ক্যান করিয়েছেন।
  • যদি করোনার সামান্য লক্ষ্মণ থাকে সে ক্ষেত্রে স্ক্যানের কোনও প্রয়োজন নেই।
  • গুরুতর সমস্যা না থাকে সে ক্ষেত্রে ওষুধ খাওয়ারও প্রয়োজন হয় না।

সিটি স্ক্যানে করোনা ধরা পড়ছে। প্রায় সপ্তাহ খানেক ধরে এই কথাটি প্রচলিত ধারণায় পরিণত হয়েছে। করোনার প্রকোপে বহু মানুষ দিশেহারা। সামান্য জ্বর বা উপসর্গ থাকলেই অনেকে সিটি স্ক্যান করাতে ছুটছেন। তবে নিজেদের অজান্তেই তাঁরা ডেকে আনছেন ক্যানসারের ঝুঁকি। সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন খোদ এইমস অধিকর্তা ড. রণদীপ গুলেরিয়া। তিনি জানান, অনেকেই এ সময় অকারণে সিটি স্ক্যান করাতে ছুটছেন। এতে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ছে তাঁদের শরীরে।

তিনি জানিয়েছেন, রেডিশনের একটি ডেটা বিশ্লেষণ করে জানা গিয়েছে, অনেকে তিন দিনের মধ্যে পর পর সিটি স্ক্যান করিয়েছেন। ড. রণদীপ গুলেরিয়া আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা জানিয়েছেন, যদি করোনার সামান্য লক্ষ্মণ থাকে সে ক্ষেত্রে স্ক্যানের কোনও প্রয়োজন নেই। কারণ করোনা রোগীদের স্ক্যানের রিপোর্টে ফুসকুড়ি মতো দেখা যায়। যা দেখে রোগীরা আরও ঘাবড়ে যান।

তিনি আরও বলেন, 'করোনা পজিটিভ হওয়ার পর যদি তেমন কোনও গুরুতর সমস্যা না থাকে সে ক্ষেত্রে ওষুধ খাওয়ারও প্রয়োজন হয় না। বিনা কারণে বেশি ওষুধ খেলে তার উল্টো প্রভাব পড়ে। রোগী অনেক বেশি দুর্বল হয়ে পড়েন। অনেকে বার বার রক্ত পরীক্ষাও করাচ্ছেন। সেটাও খারাপ। চিকিৎসক না বলা পর্যন্ত এ সব করানোর কোনও প্রয়োজন নেই। রোগীর চিন্তা এতে বাড়ে বই কমে না। হিতে বিপরীত হয়।'

আরও পড়ুন

অন্য দিকে, দেশে বেড়েই চলেছে করোনার সংক্রমণ। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙতে বিশেষজ্ঞরা আগেই লকডাউনের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। এবার একই সুর শোনা গেল সুপ্রিম কোর্টের গলাতেও। গতকাল রবিবার একটি মামলার শুনানিতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলিকে লকডাউন জারি করার বিষয়ে ভাবনা-চিন্তা করার পরামর্শ দিল দেশের শীর্ষ আদালত। 

এই শুনানিতে শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, সংক্রমণ রোধে ভবিষ্যতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা নিয়ে পরিকল্পনা করতে হবে কেন্দ্র ও রাজ্যগুলিকে। সংক্রমণের মাত্রা লাগামছাড়া হয়ে যাচ্ছে। সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

Advertisement

তারপরই আদালতের নির্দেশ, 'বিভিন্ন জায়গায় জমায়েত বেড়েই চলেছে। সে সব আটকানোর বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিচ্ছি। আর করোনার সংক্রমণের চেন ভাঙতে লকডাউন করা যায় কি না সে বিষয়েও ভেবে দেখার পরামর্শ দিচ্ছি।' 

 

Read more!
Advertisement
Advertisement