প্রত্যেক বাবা মা-ই চান তাঁদের সন্তান হয়ে উঠুক স্মার্ট এবং বুদ্ধিমান। থাকুক পড়াশোনা, খেলাধূলা, শিল্পকলায় সবার আগে। তবে তার জন্য শিশুর শারীরিক বৃদ্ধির পাশাপাশি মানসিক বিকাশের দিকেও বিশেষ নজর দিতে হয়। খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে এমন কিছু খাবার, যা শিশুকে শারীরিক ও মানসিকভাবে করে তুলবে সুস্থ এবং বলশালী। তাহলে চলুন শিশু দিবসের (Happy Children's Day 2022) দিনেই জেনে নেওয়া যাক তেমন কিছু খাবার সম্পর্কে।
ব্রকলি - ব্রকলিকে মস্তিষ্কের সুপারফুডও বলা হয়। এতে রয়েছে ডিএইচএ যা নিউরন সংযোগে সাহায্য করে। এছাড়াও ব্রকলিতে রয়েছে ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের গুণ। এ ছাড়া অ্যাভোকাডোও মস্তিষ্কের জন্যও খুব ভাল। এতে রয়েছে আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট, যা মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালনা বাড়ায়। এতে ওলিক অ্যাসিডও রয়েছে যা মাইলিনকে রক্ষা করে। মাইলিন প্রতি ঘন্টায় ২০০ মাইল বেগে তথ্য প্রেরণ করতে সহায়তা করে।
মাছ ও ডিম - সালমন, টুনা এবং ম্যাকেরেলের মতো মাছে রয়েছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা মস্তিষ্কের টিস্যুর জন্য বিশেষভাবে উপকারী। ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড মস্তিষ্কের কার্যকারিতা এবং শিশুর বিকাশে সাহায্য করে। প্রতিদিন মাছ খেলে শিশুদের মানসিক ক্ষমতা আরও মজবুত হয়। মাছ ছাড়া ডিমেও রয়েছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, জিঙ্ক, লুটেইন এবং কোলিন। সেগুলি মনোনিবেশ করার ক্ষমতা বাড়ায়। কোলিন অ্যাসিটাইলকোলিন তৈরি করতে সাহায্য করে, যা স্মৃতিশক্তি উন্নত করে।
গোটা শস্য ও ওটস - গোটা শস্য মস্তিষ্কে অবিরাম শক্তি জোগায়, যা শিশুর মনোনিবেশ করার ক্ষমতা বাড়ায়। এতে রয়েছে ফোলেট, যা মস্তিষ্ককে সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, যেসব শিশু ব্রেকফাস্টে ওটস খায়, তাদের স্মৃতিশক্তি অন্যদের থেকে বেশি ভাল থাকে। ওটসে রয়েছে ভিটামিন ই, জিঙ্ক এবং বি কমপ্লেক্স ভিটামিন। তাছাড়াও এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যার কারণে মস্তিষ্ক অবিরাম এনার্জি পায়।
বাদাম - আখরোট, বাদাম এবং চিনাবাদাম মস্তিষ্কের জন্য দারুণ। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই, যা স্মৃতিশক্তি লোপ রোধ করে। তাছাড়া বাদামে জিঙ্কও থাকে, যা মস্তিষ্কের বিকাশ এবং স্মৃতিশক্তিকে ত্বরান্বিত করে। বাদাম ছাড়া বেরিও মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়ায়। বেরিতে থাকা ভিটামিন সি শিশুদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন - 'মায়ের গল্প-পরীর স্বপ্ন...', এই মেসেজগুলিতে জানান শিশু দিবসের শুভেচ্ছা