Kaziranga National Park Opens: পার্কের সংস্কার এবং বিভিন্ন ব্যবস্থাপনার কাজের জন্য বেশ কিছুদিন বন্ধ থাকার পর কাজিরাঙা ন্যাশনাল পার্ক ফের খুলে যাচ্ছে। পার্ক কর্তৃপক্ষের তরফে নোটিশ জারি করে তা জানানো হয়েছে। ফের পার্ক খুলে যাওয়ায় বিশেষ করে বিদেশী পর্যটকদের জন্য, যাঁরা কয়েক মাসের লম্বা সফরে আসেন, তাঁদের জন্য এটি বেশি সুবিধাজনক হবে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ উত্তরবঙ্গ-অসম-নেপাল-ভুটানের পুরো সার্কিট ঘুরতে না পারার কারণে অনেকেই বুকিংয়ে আগ্রহী হচ্ছিলেন না। এবার সেই সমস্য়া মিটবে।
আরও পড়ুনঃ কংক্রিটের মাঝে ৫০০০ পাখির আস্তানা, শিলিগুড়ির 'আসরা'তে
আমাদের রাজ্যের উত্তরবঙ্গের গা ঘেঁষেই অসম রাজ্য। শিলিগুড়ি থেকে কলকাতা যেতে সময় লাগে, অসম যেতে বা অসমের রাজধানী গুয়াহাটি পৌঁছতেও তার চেয়ে কম সময় লাগে। পাশাপাশি প্রচুর বাঙালির বাস প্রাচীন কামরূপে। ফলে এ রাজ্যের মতো অসমের প্রতিও বাঙালির টান রয়েছে। আর অসমে ঘুরতে যাওয়ার কথা বললে সবার আগে যে নাম মাথায় আসে, তা হল কাজিরাঙা। এ রাজ্যের জলদাপাড়া-গরুমারার মতোই একশৃঙ্গ গণ্ডারের আবাসভূমি হল কাজিরাঙা ন্যাশনাল পার্ক (Kaziranga National Park). বাইরে থেকে যাঁরা উত্তরবঙ্গ ভ্রমণে আসেন, একই সার্কিট হওয়ায় অসমের কাজিরাঙা-মানসও ঘুরে যান। সেই অর্থে পর্যটন মানচিত্রে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে এর গুরুত্ব অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত।
কবে থেকে খুলছে কাজিরাঙা?
জনসাধারণের উদ্দেশ্যে পুনরায় খুলে দেওয়া হল কাজিরাঙা। আগামীকাল শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে পর্যটকদের জন্য খুলতে চলেছে এই জাতীয় উদ্যান। ইউনেস্কোর অন্যতম ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে কাজিরাঙা। ফেব্রুয়ারিতে অসম (Assam) যাওয়ার পরিকল্পনা করলে এই জাতীয় উদ্যানকে নিজের লিস্টে রেখে দিতে পারেন নির্দ্বিধায়।
কাজিরাঙায় মূলত তিনটি রেঞ্জে জঙ্গল সাফারি করানো হয়।সেগুলি হল – বাগরি, কোহরা ও অগোরাতলি। জিপ সাফারি থেকে শুরু করে হাতি পিঠে চেপে জঙ্গল পরিদর্শন, সবই হয় এখানে। হুড খোলা জিপে চেপে জঙ্গল সাফারির অভিজ্ঞতা অনন্য। তবে এলিফ্যান্ট সাফারির জন্য অনলাইনে অগ্রিম বুকিং করতে হয়। এছাড়াও কাজিরাঙায় নৌকা করেও জঙ্গল সাফারির ব্যবস্থা রয়েছে ।আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যটকদের জন্য এই জাতীয় উদ্যান খুললেও কাজিরাঙার সেন্ট্রাল রেঞ্জ ও ওয়েস্টার্ন রেঞ্জে বাগোরিতে আপাতত জিপ সাফারি বন্ধ রয়েছে। তবে, বুরাপাহাড়, অগোরাতলি রেঞ্জে জিপ সাফারির সুবিধা রয়েছে থাকছে।
কাজিরাঙার আকর্ষণ
একশৃঙ্গ গণ্ডার ছাড়াও কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানের অন্যতম আকর্ষণ হল এলিফ্যান্ট সাফারি। হাতির পিঠে চেপে ঘন সবুজ অরণ্যের মধ্য দিয়ে জঙ্গল সাফারির আপনাকে এক অন্য অভিজ্ঞতা এনে দিতে পারে। যদিও এলিফ্যান্ট সাফারির জন্য আপনাকে অনলাইনে অগ্রিম বুকিং করতে হবে। এছাড়াও আপনি কাজিরাঙায় নৌকা করেও জঙ্গল সাফারি করতে পারেন।শীতের মরশুমে কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানের জলাশয়ে পরিযায়ী পাখিরা ভিড় জমায়। এছাড়াও এখানে সারাবছর বিভিন্ন পাখির দেখা পাওয়া যায়। তাছাড়া বাঘ, হাতি, গণ্ডার তো রয়েছেই। এক্ষেত্রে নৌকায় চেপে জঙ্গল সাফারিও করতে পারেন। এতে নদীর তীরের দৃশ্যও আপনি লেন্স বন্দী করতে পারেন। এছাড়া হেঁটেও ঘুরে দেখা যায় কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান। পানবাড়ি রিজার্ভ এবং কুকুরকাটা রিজার্ভ ফরেস্ট ট্রেকিং রুট পর্যটকদের মধ্যে খুব জনপ্রিয়। সুতরাং, এই ফেব্রুয়ারিতে অসম গেলে কোনওভাবে মিস করা যাবে না কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান।