Summer Heavy Snowfall At Sikkim: উত্তর ও পূর্ব সিকিমের বিস্তীর্ণ এলাকায় নতুন করে বরফ পড়তে শুরু করেছে। তুষারপাতে সাদা হয়ে গিয়েছে এলাকা। মাটি ভাল ঘাসের চিহ্নমাত্র নেই কোথাও। শুধু সাদা আর সাদা। বাড়ি-ঘর-গাড়ি-ঘোড়া সাদা পুরু আস্তরণে ঢাকা পড়েছে। অনেকেই এই সময় ঘুরতে গিয়েছেন বা যাচ্ছেন, তাঁদের জন্য এ এত পড়ে পাওয়া চোদ্দ আনা। ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক সহ বেশ কিছু রাস্তা বন্ধ থাকার পরেও, যেটুকু খোলা রয়েছে, তা ধরেই তুষারাবৃত এলাকায় পৌঁছচ্ছেন পর্যটকরা। খুশি সকলেই, খুশি এলাকাবাসীও।
এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় সাধারণত তুষারপাত খুব একটা হয় না। মার্চের মধ্যেই সিংহভাগ তুষারপাত হয়ে যায়। এবার প্রথা ভেঙে এপ্রিলেও বরফ পড়ায় খুশি উপচে পড়েছে পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত কয়েক হাজার মানুষেরও। হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্রাভেল ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সম্পাদক সম্রাট সান্যাল জানিয়েছেন," রাস্তার সমস্য়া খানিকটা বিপাকে ফেললেও, প্রকৃতি দুহাত ভরে ঢেলে দিচ্ছে এলাকাকে। ফলে জমজমাট পর্যটন। তবে এই এলাকার যোগাযোগ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারের যৌথভাবে স্থায়ী সমাধানের চিন্তাভাবনা করতে হবে। আমরা এ নিয়ে আর্জি জানাচ্ছি সংগঠনের তরফ থেকে। সঙ্গে অন্য়ান্য সংগঠনকেও আহ্বান জানাচ্ছি এগিয়ে আসার জন্য।"
তুষারপাতে ঢেকেছে উত্তর ও পূর্ব সিকিমের অধিকাংশ এলাকা। শুক্রবার সকালে বরফে ঢাকা পড়েছে ছাঙ্গু লেক। পূর্ব সিকিমের নাথুলাতেও রাস্তায় বরফ পড়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে। ছাঙ্গু লেক, নাথু লা, গুরুদংমারের মতো জনপ্রিয় ট্যুরিস্ট স্পটগুলিত বরফে ঢেকে গিয়েছে। ফলে পোয়াবারো ভ্রমণপিপাসুদের।
সিকিম আবহাওয়া দফতরের তরফে আভাস দেওয়া হয়েছে,আগামী কয়েকদিন তুষারপাত হবে পূর্ব সিকিমের ছাঙ্গু, রুমটেক, তাশি ভিউ পয়েন্টের মধ্যে ট্যুরিস্ট স্পটগুলিতে। ইতিমধ্যেই গুরুদংমার লেক, জিরো পয়েন্ট, ইয়ুমথাংয়ের মতো উত্তর সিকিমের জনপ্রিয় পর্যটন স্থানগুলি বরফে ঢেকেছে। গরমের ছুটি কাটাতে, মার্চ-এপ্রিলের তীব্র গরম এড়াতে যারা সিকিম বেড়াতে গিয়েছে, তারাও এই মুহূর্তে চুটিয়ে তুষারপাত উপভোগ করছেন।
গত বছরও অবশ্য বৈশাখ মাসে তুষারপাত হয়েছিল এই এলাকায়। পরপর দু'বছরই তুষারপাত হওয়ায় আবহাওয়ার ট্রেন্ড পরিবর্তন হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। চলতি মরশুমে একাধিকবার তুষারে ঢাকা পড়েছে সিকিম ও দার্জিলিং। এই চৈত্রেও একাধিকবার তুষারপাত হয়েছে। বারবার বন্ধ করে দিতে হয়েছে বিভিন্ন রুট। এপ্রিলের শুরুতেই সিকিমে তুষারধসে মৃত্যু হয়েছিল সাত পর্যটকের। নাথুলা বর্ডারের কাছে তুষারধস হয়েছিল সেই সময়। তার জেরে সাত পর্যটকের মত্যু হয়েছিল। ওই ঘটনায় আহত হয়েছিলেন কমপক্ষে ৩০ জন। কমপক্ষে ৮০ জন পর্যটক বরফের পুরু আস্তরণের নীচে চাপা পড়ে গিয়েছিলেন। সেই স্মৃতি এখনও টাটকা তার মধ্যে অবশ্য় প্রকৃতি উপভোগ করার কোনও খামতি নেই।