Advertisement

Hepatitis: রোজ হাজার হাজার মৃত্যু হচ্ছে ভারতে একটি রোগে, অ্যালার্ট করল WHO

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মঙ্গলবার জানিয়েছে, ভাইরাল হেপাটাইটিসের কারণে প্রাণ হারানোর সংখ্যা বাড়ছে এবং এই রোগটি বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান সংক্রামক কারণ। প্রতি বছর ১.৩ মিলিয়ন মৃত্যু হচ্ছে। যা যক্ষ্মার মতোই।

হেপাটাইটিস। প্রতীকী ছবি
Aajtak Bangla
  • দিল্লি ,
  • 10 Apr 2024,
  • अपडेटेड 1:06 PM IST
  • বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মঙ্গলবার জানিয়েছে, ভাইরাল হেপাটাইটিসের কারণে প্রাণ হারানোর সংখ্যা বাড়ছে এবং এই রোগটি বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান সংক্রামক কারণ।
  • প্রতি বছর ১.৩ মিলিয়ন মৃত্যু হচ্ছে। যা যক্ষ্মার মতোই।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মঙ্গলবার জানিয়েছে, ভাইরাল হেপাটাইটিসের কারণে প্রাণ হারানোর সংখ্যা বাড়ছে এবং এই রোগটি বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান সংক্রামক কারণ। প্রতি বছর ১.৩ মিলিয়ন মৃত্যু হচ্ছে। যা যক্ষ্মার মতোই। WHO ২০২৪ গ্লোবাল হেপাটাইটিস রিপোর্টে বলা হয়েছে যে ১৮৭টি দেশের নতুন তথ্য দেখায় যে ভাইরাল হেপাটাইটিসে মৃত্যুর আনুমানিক সংখ্যা ১০১৯ সালে ১.১ মিলিয়ন থেকে ২০২২ সালে ১.৩ মিলিয়নে বেড়েছে। এর মধ্যে ৮৩ শতাংশ হেপাটাইটিস বি এবং ১৭ শতাংশের কারণে হয়েছিল। 

বাংলাদেশ, চিন, ইথিওপিয়া, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, রাশিয়া এবং ভিয়েতনাম সম্মিলিতভাবে হেপাটাইটিস বি এবং সি-এর বৈশ্বিক বোঝার প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ কাঁধে। হেপাটাইটিস সংক্রমণ প্রতিরোধে বিশ্বব্যাপী অগ্রগতি সত্ত্বেও, মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে কারণ হেপাটাইটিসে খুব কম লোকেরই নির্ণয় ও চিকিৎসা করা হচ্ছে, বলেছেন ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক ডঃ তেদ্রোস আধানম ঘেব্রেইসুস।

হেপাটাইটিসে আক্রান্তের সংখ্যায় সবচেয়ে আগে আছে চিন, তারপরেই রেকর্ড করেছে ভারত। হু-র রিপোর্ট অনুযায়ী ২০২২ সালেই ভারতে হেপাটাইটিস বি-এ আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২.৯৮ কোটি আর হেপাটাইটিস সি-তে আক্রান্ত হয়েছিল ৫৫ লাখের বেশি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গ্লোবাল হেপাটাইটিস রিপোর্ট অনুযায়ী, ভাইরাল হেপাটাইটিসে মৃত্যু বেড়ে চলেছে। ২০১৯ সাল থেকে রিপোর্ট দেখলে বোঝা যাবে, ১৮৭টি দেশে হেপাটাইটিসে মৃত্যু হয়েছে কম করেও ১০ লাখ মানুষের। এই সংখ্যা বেড়ে চলেছে। হু-র সমীক্ষা বলছে, বিশ্বজুড়ে ২৫ কোটির বেশি মানুষ হেপাটাইটিস নিয়ে বাঁচছেন।

হেপাটাইটিস বি ও সি কী? কীভাবে ছড়ায়?
হেপাটাইটিস বি হল এক ধরনের ডিএনএ ভাইরাস, যা লিভারকে আক্রমণ করে। হেপাটাইটিস বি ভাইরাস ছড়ানোর মাধ্যম কিন্তু শরীরের ফ্লুইড। রক্ত, থুতু, বীর্য-- এসবের মাধ্যমে এক মানুষ থেকে অন্য মানুষের শরীরে ছড়ায় এই ভাইরাস। তাই যে কোনও কারও ব্যবহারের ছুঁচ, ক্ষুর, টুথব্রাশ, শারীরিক সংসর্গ-- এসব বিষয়গুলি সংক্রমণের মুখ্য কারণ হয়ে উঠতে পারে। তবে ভাইরাসটি হাওয়ায় না ছড়ালেও শরীরের বাইরে বেঁচে থাকে সাত দিন পর্যন্ত। ধরা যাক কেউ কোথাও থুতু ফেলেছে, কোনও ভাবে শরীরে কোথাও কেটে গিয়ে রক্ত লেগে গেছে-- এসব ক্ষেত্রে যদি হেপাটাইটিস বি শরীরে থাকে, তাহলে আক্রান্তের থেকে সহজেই সুস্থ কারও শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে ভাইরাস।

Advertisement

হেপাটাইটিস বি দু'রকম হয়, অ্যাকিউট এবং ক্রনিক। তফাত কী? অ্যাকিউট হেপাটাইটিস হয় সাধারণত প্রাপ্তবয়স্কদের। তাঁদের শরীরে কোনও ভাবে ভাইরাসটি ঢুকলে জ্বর, জনডিস, খিদে কমে যাওয়া, সাদা মল, গা-বমি ভাব, হলুদ প্রস্রাব-- এই সব উপসর্গ দেখা দেয় রোগীর শরীরে। শরীরে ভাইরাস ঢোকার ৬ সপ্তাহ থেকে ৬ মাস পরেও দেখা দিতে পারে উপসর্গ। সংক্রমণের প্রথম ১ মাস থেকে ৩ মাস উপসর্গের তীব্রতা থাকে বেশি। আর ৬ মাসের মধ্যে সাধারণত নির্মূল হয়ে যায় ভাইরাস। তার পরে শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে যায়।

দ্বিতীয় ধরনের হেপাটাইটিস অর্থাৎ ক্রনিক হেপাটাইটিস। মায়ের থেকে সন্তানের শরীরে আসতে পারে। গর্ভেই এই ভাইরাস বাসা বাঁধতে পারে সন্তানের শরীরে।

 

TAGS:
Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement