শীতকাল এলে অনেকে ঠান্ডার ভয়ে স্নান করতে বাথরুমে ঢুকেও গায়ে জল না ঢেলেই বেরিয়ে আসেন। অনেকেই আবার শীতকালে নিয়মিত গরম জলে স্নান করেন। তবে এমনও কিছু মানুষ রয়েছেন যাঁদের শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা— স্নানের জন্য ঠাণ্ডা জলেই ভরসা! কিন্তু শীতকালে ঠান্ডা নাকি গরম জলে স্নান, আমাদের শরীর-স্বাস্থ্যের জন্য কোনটা উপকারি আর কোনটা ক্ষতিকর জানেন?
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষকদের মতে, নিয়মিত স্নান করাটা অনেকটাই একটা সামাজিক রীতি বা অভ্যাস। রোজ স্নানের অভ্যাস আসলে শরীর পরিচ্ছন্ন রাখার প্রয়োজনেই। কিন্তু স্নানের সময় জলের তাপমাত্রাও খেয়াল রাখা জরুরি।
মুঠো মুঠো ওষুধ নয়, জেনে নিন মাইগ্রেনের সমস্যার সহজ ও অব্যর্থ সমাধান!
বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত গরম জলে স্নানের অভ্যাস শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর হতে পারে। অতিরিক্ত গরম জলে স্নানের ফলে ত্বকের ফলিকলগুলি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। চুল ও ত্বক রুক্ষ হয়ে যেতে পারে।
এ ছাড়া, নিয়মিত গরম জলে স্নানের অভ্যাসের ফলে ধীরে ধীরে নানা হজমের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। পেটের সমস্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে পারে ত্বকের নানা সমস্যাও। মুখে ব্রণর সমস্যা দেখা দিতে পারে।
এখন একটা মিসড কলেই বুকিং করা যাবে রান্নার গ্যাস! বাঁচবে সময়, কল চার্জও
হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, যাঁদের হার্টের সমস্যা রয়েছে, নিয়মিত গরম জলে স্নানের অভ্যাস তাঁদের মধ্যে কার্ডিওভাসকুলার সমস্যা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।
তাহলে কি শীতকালে ঠাণ্ডা লাগলেও কনকনে ঠাণ্ডা জলেই স্নান করতে হবে? একেবারেই নয়! শীতকালে কনকনে ঠাণ্ডা জলে স্নান সর্দি-কাশি, টনসিলের সমস্যা, বাতের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। স্নায়ুর সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
তাহলে উপায়! উপায় একটাই, স্নানের জলের সঙ্গে সামান্য গরম জল মিশিয়ে সেটির তাপমাত্রা স্বাভাবিক করে নিন। তার পর স্নান করুন। বিশেষজ্ঞদের মতে, সামান্য উষ্ণ জলে সারা বছর স্নান করা যেতেই পারে। তবে প্রচণ্ড গরম জল বা খুব ঠাণ্ডা জলে স্নান নানা রকম শারীরিক সমস্যা ডেকে আনতে পারে।