Weight Loss Tips: পুজো আসতে আর খুব বেশি দিন বাকি নেই। অনেকের তো এর মধ্যেই জামা কাপড়, মেক-আপ ইত্যাদির তালিকা তৈরি করে কেনাকাটিও সারা। অনেকে আবার কিনব কী কিনব না, এটাই ঠিক করে উঠতে পারছেন না। বাড়তি ওজনের কারণে কোনও পোশাকই ফিট করছে না। ব্যায়াম, হাঁটা, জিম সব কিছু চেষ্টা করে দেখে ফেলেছেন, কিন্তু ওজন যে কে সেই! তাহলে উপায়? আমরা জানাচ্ছি। পুজোর আগে ওজন কমানোর ক্র্যাশ কোর্স করে ফেলুন। রাতারাতি ওজন কমবে। একই সঙ্গে আপনার মেটাবলিজমও বেড়ে যাবে অনেকটা। বাড়িতেই এই ম্যাজিক ড্রিঙ্ক পান করে দেখুন। পেটের চর্বি দ্রুত গলিয়ে আপনাকে আগের শেপে ফিরিয়ে আনতে এর জুড়ি মেলা ভার।
কীভাবে কমাবেন ওজন?
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই ম্যাজিক ড্রিঙ্ক তৈরি করা যায় অশ্বগন্ধার সাহায্যে। আর তৈরি করতেও কোনও ঝামেলা নেই। অনেকে ভাবছএন অশ্বগন্ধা তো বিভিন্ন ওষুধে ব্যবহৃত হয়। হঠাৎ ওজন কমানোর ক্ষেত্রে এর কী ভূমিকা থাকতে পারে? ঠিক ধরেছেন। অশ্বগন্ধা নানা কাজের কাজি। অশ্বগন্ধার উদ্ভিদের মূল রাসায়ানিক উপাদান এলকালয়েড এবং স্টেরইডাল লেক্টন্স। এ ছাড়াও এতে আছে উইথেনাইন, এনাফেরিনিন, এনাহাইড্রিন, ফ্যাটি অ্যাসিড, অ্যামাইনো অ্যাসিডের মতো উপাদান। প্রাচীনকাল থেকেই আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাশাস্ত্রে অশ্বগন্ধা ব্যবহৃত হয়ে আসছে। অনেকেই হয়তো জানেন না বাড়ি মেদ ঝরাতেও এর জুড়ি মেলা ভার।
অশ্বগন্ধায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। যা শরীরে ইনফ্লামেশন কমাতে এবং মেটাবলিজম বাড়াতে ভীষণ সাহায্য করে। মেটাবলিজম বাড়লেই এমনিই ওজন কমতে শুরু করবে। কারণ বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হজমশক্তি কমতে থাকে। শরীরে মেদ জমার প্রবণতা বাড়ে। অশ্বগন্ধা মেটাবলিজম বাড়িয়ে সেই সম্ভাবনাকে কমিয়ে দেয়। যার কারণে যৌবন ধরে রাখতে এর জুড়ি নেই।
কীভাবে খাবেন?
সাধারণত জলে গুলেই খেতে পারেন। এক কাপ সামান্য উষ্ণ জলে এক চা চামচ অশ্বগন্ধার গুঁড়ো গুলে খানিক ক্ষণ রেখে পান করুন। দিনে ২ বার পান করতে পারেন। তবে সকালে খালিপেটে এবং রাতে খাওয়ার ৩০ মিনিট পর খেলে কাজ ভালো হবে।
জলের বদলে যদি কেউ উষ্ণ দুধে অশ্বগন্ধার গুঁড়ো মিশিয়ে খেতে চান, তাও খেতে পারেন।
অনেকের সরাসরি অশ্বগন্ধার গুঁড়ো খেতে সমস্যা হতে পারে। তাঁরা অশ্বগন্ধার ট্যাবলেটও খেতে পারেন। কাজ প্রায় একই। নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধান রেখে ট্যাবলেট খান।