মাছ-মাংসে রয়েছে প্রোটিন। তা বাড়ায় প্রতিরোধক্ষমতা। পেশি, দাঁত ও হাড়ের গঠনেও ভূমিকা রয়েছে মাছ-মাংসের। ভালো রাখে চুল ও নখের স্বাস্থ্য। এছাড়া স্মৃতিশক্তি বাড়াতে এবং উদ্যমী রাখতেও জুড়ি নেই মাছ-মাংসের। এতে রয়েছে থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডও। যা কোষের প্রাচীর গঠন করে। আর বাঙালি এমনিতেই মাছে ভাতে! পাতে মাছ ছাড়া বাঙালিদের পেট ভরে না। মাছ না হয় মাংস চাই-ই চাই। আর স্বাস্থ্যের জন্য় প্রোটিন তো দরকার। কিন্তু প্রশ্নটা হল, সপ্তাহে কবার, কত মাছ-মাংস খেলে শরীর ঠিক থাকবে?
মাংস কতটা খাওয়া নিরাপদ- বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাংস যতটা ছোট ছোট টুকরো করা হবে ততই মঙ্গল। এতে চর্বি অপেক্ষাকৃত কম থাকে। এর সঙ্গে সবজি মিশিয়ে নিন, যেমন- পেঁপে। সেই সঙ্গে পাতে রাখুন স্যালাড। এতে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হবে না।
কীভাবে রান্না করবেন- মাংস তেলে কষাবেন না। মশলাপাতি, সামান্য টকদই,লেবুর রস অথবা ভিনেগার দিয়ে ১ ঘণ্টা মেরিনেট করে রাখুন মাংস। তার পর রান্না করুন।
কত মাংস খাবেন- একজন মানুষের ওজন ৬৪ কেজি হলে ৬৪ গ্রাম প্রোটিন দরকার। সে কারণে ১০০-১৫০ গ্রাম মাংস খেলেই যথেষ্ট। সারাদিনে ডাল ও অন্যান্য খাবার থেকেও মেলে প্রোটিন।
সপ্তাহে কবার মাছ-মাংস- সপ্তাহে তিনদিন বা তার বেশি মাছ খেলে মস্তিষ্কের নিউকন কোষ সুগঠিত ও সক্ষম হয়ে ওঠে। সে কারণে বেশি করে মাছ খান। ইলিশ, চিতল, ভেটকি, পমফ্রেট, চিতল, রুই ও কাতলা শরীরের জন্য উপকারী। মাছে প্রোটিন ছাড়াও রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ও ফসফরাসের মতো খনিজ।
কত মাছ খাবেন সপ্তাহে- পুষ্টিবিদরা বলছেন, সপ্তাহে ৪০০-৪৫০ গ্রাম মাছ খান। শরীরে তৈরি হবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।
বয়স্করা কবার খাবেন- বয়স্করা সপ্তাহে দুদিনের বেশি মাছ-মাংস খান। শরীর সুস্থ থাকবে। ভালো থাকবে দৃষ্টিশক্তি। সেরিব্রাল কর্টেক্স তৈরি করে মাছ। ফলে দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে। ৬০ বছরের পর অনেকেই মাংস খান না। তাঁরা সপ্তাহে দুদিনের বেশি মাছ খান।
মাছ না মাংস- অনেকেই মনে করেন মাছের চেয়ে মাংসে বেশি প্রোটিন থাকে। তা কিন্তু নয়। বরং মাংসের চেয়ে মাছ খেলেই বেশি উপকার। কোলেস্টেরলও হবে না। এতে থাকা ফ্যাট সহজেই দ্রবীভূত হয়। তাই মাংসের পরিবর্তে মাছ খাওয়াই শ্রেয়।
ক্যানসারের ঝুঁকি কমায় মাছ- প্রতিদিন এক টুকরো পাতে মাছ থাকলে কমে ক্যানসারের ঝুঁকি। ছোট থেকে মাছ খাওয়ার অভ্যাস করুন। তাই শিশু থেকে বয়স্করা মাছ-মাংস খান নিয়মিত। প্রোটিনের সঙ্গে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ফসফরাস, ম্যাগনেশিয়াম, সেলেনিয়াম ও আয়োডিন-সহ বিবিধ খনিজ।