Tea Benefits: চা (Tea) প্রেমীরা সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরই চায়ে চুমুক দেন। সকালের (Morning) খাবারের সঙ্গে কাগজ পড়তে পড়তে চা খাওয়ার অভ্যেস অনেকের। তবে এমনও অনেক মানুষ আছেন যারা দিনে ১০-১২ বার চা খান। কিন্তু আপনি কি জানেন যে অতিরিক্ত চা পান করা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে? আপনি যদি আপনার স্বাস্থ্যের যত্ন না নিয়ে প্রতিদিন ৫-৬ কাপ বা তার বেশি চা খান তবে আপনার শরীর রোগ ডেকে আনছে। এখন প্রশ্ন জাগে দৈনিক কত কাপ চা খাওয়া উচিত? জেনে নিন এর উত্তর।
হেলথলাইনের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চায়ে উপস্থিত অনেক নিরাময় বৈশিষ্ট্যের কারণে এটি বহু শতাব্দী ধরে ঐতিহ্যবাহী ওষুধে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তবে এর অত্যধিক সেবনের কারণে আপনি অনেক রোগে আক্রান্ত হতে পারেন, যেমন ডিহাইড্রেশন, অ্যাসিডিটি, রক্তচাপ, পেট সংক্রান্ত সমস্যা, বুকে জ্বালাপোড়া, অন্ত্রের ওপর প্রভাব পড়ে ইত্যাদি। অত্যধিক চা পান করলে একজন সুস্থ ব্যক্তি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন।
ক্যাফেইন (Caffine) অত্যধিক গ্রহণ বিপজ্জনক
ব্রাউন ইউনিভার্সিটির মতে, গ্রিন এবং লাল চায়ের প্রতিটি কাপে ৪০ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন থাকে। এটি খুব বেশি খেলে তাতে আপনাকে ক্যাফেইনে আসক্ত করে তুলতে পারে, যা আপনার পক্ষে যেকোনও কাজে মনোনিবেশ করা কঠিন করে তুলবে। অস্থির বোধ করবেন এবং বিরক্ত বোধ করতে পারেন। এ ছাড়া ঘুমের ধরণও ব্যাহত হতে পারে।
ক্যাফেইন সামান্য ব্যবহারে আপনি অনেক উপকার পেতে পারেন, কিন্তু যদি এটি অতিরিক্ত পরিমাণে সেবন করা হয় তবে আপনাকে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। এটা ঠিক যে চা পান করলে বিভিন্ন মানুষের বিভিন্ন উপকারিতা ও অপকারিতা দেখা যায়, কিন্তু অতিরিক্ত চা আপনাকে শুধু ক্ষতির দিকেই নিয়ে যাবে।
কত কাপ চা পান করা ঠিক?
এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন যে দিনে কতটা চা খাওয়া উচিত যাতে স্বাস্থ্যের কোনও সমস্যা না হয়। হেলথলাইন অনুসারে, আপনি প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ কাপ (৭১০-৯৫০ মিলি) চা পান করতে পারেন। অ্যানালস অফ ইন্টারনাল মেডিসিনে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে, যে সমস্ত অংশগ্রহণকারীরা প্রতিদিন দুই বা ততোধিক কাপ চা পান করেছেন তাদের মদ্যপানকারীদের তুলনায় ৯ থেকে ১৩ শতাংশ কম মৃত্যুর ঝুঁকি ছিল।
পপসুগার রিপোর্ট অনুসারে, ইউসিএলএ এবং ইউনিভার্সিটি অফ মেরিল্যান্ড মেডিকেল সেন্টারের ক্যান্সার এপিডেমিওলজি গবেষক জুও ফেং ঝাং দিনে ২ থেকে ৩ কাপ চা পান করার পরামর্শ দিয়েছেন। বেশিরভাগ রিপোর্টে, অত্যধিক চা খাওয়াকে রোগের সঙ্গে কারণ বলে বলা হয়েছে। তাই সুস্থ থাকতে প্রতিদিন মাত্র ৩-৪ কাপ খাওয়া উচিত।