আমরা সবাই পেটে জমে থাকা অতিরিক্ত চর্বি (Fat) কমাতে চাই। কিন্তু এই লক্ষ্য অত সহজে অর্জিত হয় না। ডায়েট এবং ব্যায়াম সহ অনেক কিছু করি আমরা। যখন সঠিক ডায়েট, সঠিক খাবার এবং সঠিক ব্যায়াম করা হয়, তখন সেই অতিরিক্ত ওজন কমার (Weight Loss) প্রক্রিয়া সহজ হয়ে যায়। আমরা অনেকেই এই অতিরিক্ত ওজন কমানোর জন্য ডায়েটের পরিকল্পনা করি, কিন্তু সেগুলি আবার কার্যকর নাও হতে পারে।
পেটের চর্বি থাকার কারণে পছন্দের পোশাক পরতে পারা যায় না। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মাত্র কয়েকদিনে দ্রুত ওজন কমানোর বিভিন্ন উপায়ের পরামর্শ দেন। এখানে মাত্র সাত দিনে ওজন কমানোর সাতটি সেরা উপায় রয়েছে।
আরও পড়ুন: Weight Loss Diet For Summer: রোগা হওয়ার ডায়েট করলে কি আম খাওয়া যায়? বিশেষজ্ঞরা যা জানাচ্ছেন
সার্কিট ট্রেনিং
এটি এক ধরনের বডি-কন্ডিশনিং ওয়ার্কআউট। যা সহনশীলতা প্রশিক্ষণ, প্রতিরোধের প্রশিক্ষণ, উচ্চ-তীব্রতার বায়বীয়বিদ্যা এবং একটি সার্কিটে সম্পাদিত ব্যায়াম, উচ্চ-তীব্রতার ব্যবধানের প্রশিক্ষণের মতো। যাদের ওজন বেশি বা স্থূল রয়েছে তাদের শরীরের ওজন এবং বডি মাস ইনডেক্স (BMI) কমাতে সার্কিট ট্রেনিং কার্যকর। খুব কম সময়ের বিশ্রাম নিয়ে প্রায় পরপর কয়েকটি ব্যায়াম করতে হবে।
পেটের পেশীর ওয়ার্কআউট
পেটের মেদ কমানোর কার্যকরী উপায়গুলির মধ্যে একটি হল আপনার নিয়মিত নিয়মে পেটের পেশীর ব্যায়াম করা। আপনার নিয়মিত ওয়ার্কআউট করলে ওজন কমতে বাধ্য।
নুন খাওয়া কমাতে হবে
সোডিয়াম একটি পুষ্টি উপাদান, যা জীবনের জন্য অপরিহার্য। তরল এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, পুষ্টির পরিবহন এবং স্নায়ু কোষের কার্যকারিতা সহ অনেক শারীরিক প্রক্রিয়ার জন্য এটি প্রয়োজন। নুন খাওয়া এবং শরীরের তরল মাত্রার মধ্যে সম্পর্ক জটিল। কিন্তু গবেষণা পরামর্শ দেয় যে বেশি নুন খেলে ওজন বৃদ্ধি হতে পারে।
স্বাস্থ্যকর খাবার খান
আমরা যে খাবার খায়, তা ওজন বৃদ্ধি এবং ওজন হ্রাসে একটি দুর্দান্ত ভূমিকা পালন করে। সঠিক খাবার খেলে দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে। যেখানে ভুল এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার বিভিন্ন স্বাস্থ্য-সম্পর্কিত রোগ এবং অসুস্থতার প্রবণতার সঙ্গে ব্যাপক ওজন বৃদ্ধি করতে পারে। চর্বিহীন প্রোটিন, শাকসবজি এবং ফল এবং লেবুসমৃদ্ধ একটি স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে নিয়মিত।
হাইড্রেটেড থাকুন
জল ওজন কমানোর ক্ষেত্রে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। পানীয় জল ক্যালোরি পোড়া এবং ক্ষুধা-তৃষ্ণা কমাতে সাহায্য করতে পারে। কিন্তু শুধুমাত্র পানীয় জলই ওজন কমানোর জন্য যথেষ্ট নয়
অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন
বেশ কিছু গবেষণায় বলা হয়েছে যে অ্যালকোহল ওজন বাড়াতে পারে, কারণ এতে ক্যালোরি বেশি। আপনি যখন অ্যালকোহল পান করেন, তখন লিভার চর্বির পরিবর্তে অ্যালকোহল পোড়ায়। তাই সুস্থ জীবনযাপনের জন্য অ্যালকোহল বাদ দেওয়া উচিত।
স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণ করুন
একটি জনপ্রিয় মিথ আছে যে ওজন বৃদ্ধি বা হ্রাস শুধুমাত্র অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার মাধ্যমেই ঘটে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল, অনেক ব্যক্তির ওজন বৃদ্ধিতে মানসিক চাপ একটি প্রধান অবদান রাখে। দীর্ঘদিনের স্ট্রেসের কারণে ওজন বৃদ্ধি হতে পারে। অতএব, প্রতিদিনের মানসিক চাপ থেকে মুক্তির জন্য যোগব্যায়াম, ধ্যান এবং অন্যান্য সহজ কৌশল অনুশীলন করা উচিত।