Headphone-Earphone Using Health Issues: বাড়ি থেকে অফিস যাওয়ার পুরো সময়টা কানে হেডফোন গুঁজে রাখেন। রাস্তার কোলাহল, ট্রেন-বাসের হর্ন-এর আওয়াজ এড়াতে হেডফোনের ব্যবহার করেন নিয়মিত! হেডফোন এবং ইয়ারফোন ছাড়া জীবন-যাপনের কথা ভাবতেই পারেন না! দিনের অনেকটা সময় কানে থাকে হেডফোন। যদি এমনই অভ্যেস হয় আপনার তা হলে এখনও সাবধান হওয়ার সময় এসেছে। কারণ, দীর্ঘ সময় হেডফোন ব্যবহারের ফলে হতে পারে মারাত্মক সমস্যা। আসুন জেনে নেওয়া যাক, দীর্ঘ সময় হেডফোন ব্যবহারের ফলে কী কী ক্ষতি হতে পারে
আরও পড়ুন ঃ ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়, হার্ট মজবুত রাখে এই সবজি, সারা বছর খান
কানে ইনফেকশন- ইয়ারফোন কারও সঙ্গে ভাগ না করাই ভাল। না হলে কিন্তু সহজেই কানে সংক্রমণ হতে পারে। অন্য কারও কান থেকে ব্যাকটেরিয়া সহজেই হেডফোন-এর মাধ্যমে আপনার কানে আসতে পারে।
শুনতে সমস্যা- হেডফোন বা ইয়ারফোন ব্যবহার করলে সরাসরি অডিও কানে যায়। ৯০ ডেসিবেল বা তার বেশি মাত্রার আওয়াজ সরাসরি কানে গেলে শ্রবণে সমস্যা হতে পারে। চিরতরে শ্রবণ শক্তি হারাতে পারেন। দীর্ঘ সময় হেডফোনের ব্যবহার করতে হলে কিছুক্ষণ বিশ্রাম দিতে ভুলবেন না। হাই ভলিউম-এ গান শুনবেন না।
বায়ু চলাচলে সমস্যা- হেডফোন কোম্পানিগুলি এখন তাদের হেডফোনের অডিও এক্সপেরিয়েন্স এর দিকে বাড়তি নজর দিয়েছে। ফলে সাউন্ড কোয়ালিটি বজায় থাকে। বেশিরভাগ হেডফোন এয়ার-টাইট। অর্থাত্ কানে বাতাস প্রবেশ করতে পারেনা। যার ফলে ঝুঁকি থেকেই যায়।
আরও পড়ুন ঃ পাহাড়, চা বাগান, সুইমিল পুল, নদী; পোস্টকার্ড লোকেশন কার্শিয়াংয়ের বেলটার
কান ব্যথা- অতিরিক্ত হেডফোন ব্যবহারের জন্য অনেকেই কানের ব্যথা অনুভব করেন। মাঝে মাঝে কানের ভেতরে ভোঁ ভোঁ আওয়াজ হয়।
সাময়িক বধির- একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, দীর্ঘ সময় হাই ভলিউম-এ গান শুনলে হেডফোন খোলার পরও কিছুক্ষণ ভালোভাবে কানে শোনা যায় না। টানা ১৫ মিনিট ১০০ ডেসিবেলের বেশি মাত্রায় গান শুনলে বধির হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়।