জন্মের পর থেকে সাধারণত পরিবারের মধ্যেই বড় হয়ে ওঠে মানুষ। পরিবারের সকলের আদর, ভালবাসা পায়। আবার একটা সময় আসে যখন প্রত্যেককেই পরিবারে দায়িত্ব নিতে হয়। বুঝতে হয় পরিবারে কার কী প্রয়োজন, কার কী পছন্দ বা অপছন্দ। এভাবেই পরিবারের সবাই নিয়ে বেঁচে থাকে মানুষ। আজ আন্তর্জাতিক পরিবার দিবসে চলুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে পরিবারের সকলের প্রিয় হয়ে ওঠা যায়।
পরিবারের সদস্যদের কথা শুনুন - ভালয় মন্দয় বিপদে আপদে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেই আলোচনা করে মানুষ। আলোচনার মধ্যে দিয়েই উঠে আসে জটিল সমস্যার সমাধান। তাই পরিবারের একজন দায়িত্বশীল সদস্য হিসেবে ছোট থেকে বড় প্রত্যেকের কথা মন দিয়ে শুনুন এবং প্রয়োজন মতো পরামর্শ দেওযার চেষ্টা করুন।
প্রত্যেকের সঙ্গে হাসি মুখে কথা - বর্তমান ব্যস্ত সময়ে পেশাগত চাপে সকলেই প্রায় নাজেহাল। দিনভর কাজের শেষে বাড়ি ফিরে হয়ত অনেক সময় একটু বিশ্রাম নিতে ইচ্ছা করে। কখনও বা মেজাজও ভাল থাকে না। কিন্তু একটা কথা মনে রাখবেন, বাড়ির মানুষগুলো কিন্তু আপনার জন্যই সারাদিন অপেক্ষা করে বসে আছেন। তাই ফিরে চেষ্টা করুন একটু হলেও তাঁদের সঙ্গে হেসে কথা বলার।
প্রশংসা করুন - পরিবারের কোনও সদস্য বা সদস্যা যদি ভুল করেন তাহলে তাঁকে যেমন সংশোধন করে দেবেন, ঠিক তেমনই কেউ ভাল কাজ করলে দরাজ গলায় প্রশংসাও করবেন। এতে আপনার প্রতি তাঁর আস্থা বাড়বে। অনেক সময় মনের গোপন কথাও তিনি হয়ত শুধুমাত্র আপনার সঙ্গেই শেয়ার করবেন।
কথা রাখুন - কমিটমেন্ট খুব বড় বিষয়। তাই পরিবারকে বা পরিবারে কোনও সদস্য-সদস্যাকে যদি কোনও বিষয়ে কথা দেন, তাহলে অবশ্যই তা পালন করুন। যেমন ধরুন যদি কাউকে কোথায় বেড়াতে নিয়ে যাবেন বা ট্রিট দেবেন বলে কথা দিয়ে থাকেন, তাহলে আপনার সাধ্যের মধ্যে তা পূরণ করার চেষ্টা করুন।
পরিবারকে সময় দিন - আজকাল প্রায় সকলের কাছেই সময়ের খুব অভাব, কারণ কর্মব্যস্ত জীবন। তবে তারমধ্যেও চেষ্টা করুন পরিবারকে সময় দিতে। অন্তত পক্ষে ছুটির দিনে। তাই বলে বন্ধুবান্ধবকে ভুলে যাবেন না। কারণ জীবনে বন্ধুদেরও গুরুত্ব আছে। সেক্ষেত্রে চেষ্টা করুন যাতে সবারই মন রাখা যায়। আর এর জন্য টাইম ম্যানেজমেন্টটা আপনাকেই করতে হবে।
আরও পড়ুন - ক্যান্সার ও ডায়াবেটিস রোধে অব্যর্থ, রইল ত্রিফলার ১০ চমৎকারী গুণ