মহালয়া থেকেই কলকাতার একাধিক মণ্ডপে ভিড় শুরু করেছেন দর্শনার্থীরা। শুধু কলকাতা কেন, জেলায় জেলায়ও এবার মহালয়ার পর থেকেই ঠাকুর দেখা শুরু হয়েছে। অনেকে এক দফা দেখেছেন। ফের ঠাকুর দেখতে বেরোবেন ষষ্ঠী বা সপ্তমী থেকে। পুজোর এই কটা দিন বাঙালি রাতভর ঠাকুর দেখে।
অনেকে গাড়ি নিয়ে ঠাকুর দেখতে যান। অনেকে আবার হেঁটে। তবে ঠাকুর দেখতে গিয়ে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। কেউ কেউ পরদিন আবার হাত পায়ে ব্যথা নিয়ে নড়াচড়া করতে পারেন না। এছাড়াও ঠাকুর দেখতে গিয়ে বমি করা, ডি হাইড্রেশনে ভোগার মতো সমস্যা থাকে। এতে অনেকের বাকি পুজো মাটি হয়ে যায়। তাহলে প্যান্ডেল হপিং করতে গিয়ে কীভাবে নিজেকে সুস্থ রাখবেন ? কোন কোন টিপস মেনে চলতে হবে আপনাকে ?
- রাতভর ঠাকুর দেখার পর্ব শুরু হয়ে গিয়েছে। কলকাতা হোক বা জেলা। সব জায়গাতেই এখন দর্শনার্থীরা রাতভর ঠাকুর দেখেন।
- কিন্তু ঘণ্টার পর ঘণ্টা হেঁটে বা গাড়িতে বসে ঠাকুর দেখা সহজ ব্যাপার নয়।
- ভিড়ের মধ্যে প্যান্ডেল হপিং, ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়ানো এসব করতেই হয়। ফলে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ে।
-
- অনেকের আবার প্যান্ডেল হপিং করার সময় তেমন কিছু মনে না হলেও পরদিন অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাত-পায়ে ব্যথা হয়।
- তাহলে কীভাবে ঠাকুর দেখবেন বা কীভাবে সুস্থ থাকবেন? রইল টিপস।
- মাথায় রাখুন, প্যান্ডেল হপিং করতে যাওয়ার আগে জ্বর, মাথা ব্যথা, বমি বন্ধ করার ওষুধ সঙ্গে নিতে ভুলবেন না।
- সঙ্গে রাখবেন জল। অত ভিড়ে ডি হাইড্রেশন হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। তাই গ্লুকোজ সঙ্গে নিয়ে যান।
- নবমী ও দশমীতে বৃষ্টি হতে পারে। তার আগেও বৃষ্টি হতে পারে। তাই ছাতা সঙ্গে নিয়ে বেরোবেন।
- বাচ্চাদের সঙ্গে নিয়ে গেলে তাদের দিকে বাড়তি খেয়াল রাখুন। তাদের জন্য শুকনো খাবার নিয়ে যান।
- বাইরের খাবার না খাওয়া ভালো। ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে ভুলেও মদ্যপান করবেন না। তাতে অসুস্থ হয়ে পড়বেন।
- পরদিন ঘুমোনো খুব জরুরি। আর পাঁচটা দিন যেভাবে ঘুমোন। ঠিক সেভাবে ঘুমোবেন। কম করে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা।
-