বয়স যত বাড়তে থাকে তত শরীরে প্রতি অবজ্ঞা যেন আরও বেড়ে যায়! অথচ এর উল্টো হওয়া উচিত। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাড় এবং পেশীতে ব্যথা, ওজনের ওঠানামা, ত্বকের সমস্যাগুলিতে জেরবার হতে হয় মহিলাদের।
৪০ বছরে পা দিলে মহিলাদের প্রাক-মেনোপজাল ধাপ শুরু হয়ে যায়। কারও কারও ওজন বাড়ে, কারও আবার দ্রুত ওজন হ্রাস কমে। বহু মহিলার পেশী এবং হাড়ের ব্যথা, ত্বকের পিগমেন্টেশন, পাকা চুল ইত্যাদি উপসর্গ আসতে থাকে।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চটজলদি উপশম না খুঁজে অনেক আগে থেকে স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া উচিত। ৩০ বছর বয়স থেকে জীবনে তিনটি সহজ পরিবর্তন করতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এতে ফল মিলবে হাতেনাতে।
১. দিনে অন্তত ৩০ মিনিট শরীরচর্চা
৩০-র পরই মহিলারা প্রায়শই ক্লান্ত হয়ে পড়েন। তা শরীরচর্চার মাধ্যমে মোকাবিলা করা যেতে পারে। দিনে মাত্র ৩০ মিনিট শরীরচর্চাই বাড়াতে পারে মেটাবলিজম। ওয়ার্কআউট করার অর্থ জিমে যাওয়া নয়, সাধারণ হাঁটাচলা, দৌড়নো এবং এমনকি স্কোয়াট এবং পেটের ক্রাঞ্চও করুন।
২. খাদ্যতালিকায় বাদাম
বাদাম প্রোটিন সমৃদ্ধ। পুষ্টিগুণে ভরা। যা শুধুমাত্র শক্তি-উৎপাদন করে না, পেশীর শক্তি বৃদ্ধি এবং রক্ষণাবেক্ষণেও সাহায্য করে। এক মুঠো বাদাম খেলে ক্ষুধা নিবারণও সম্ভব। কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবারে রক্তে যে শর্করা মেশে তার প্রভাব কমাতে সাহায্য করতে পারে বাদাম। লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক একটি সমীক্ষায় দেখেছেন, সকালে বাদাম খাওয়ায় সামগ্রিকভাবে খিদে কমে যায়। উচ্চ ফ্যাটযুক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতাকে দমন করে।
৩. সুষম খাদ্যতালিকা
অনেক মহিলাই বলেন, খিদে পায় না তাঁদের। মহিলাদের পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত যা প্রোটিন, খনিজ, ভিটামিন, আয়রন এবং ক্যালসিয়ামের ভারসাম্য বজায় রাখে। খাদ্যতালিকায় থাকুক অঙ্কুরিত ছোলা, শাক, মরসুমী ফল এবং মাছ-মাংস।
আরও পড়ুন- এই ৫ ফলে লুকিয়ে বিবিধ গুণ, কখন খেলে সর্বাধিক পুষ্টি পায় শরীর?