Long Life Tips: আমাদের জীবনে চলার পথে কিছু নিজেদের অভ্যাস, কিছু অনিচ্ছাগত কাজকর্মের জন্য জীবনের বয়স বা আয়ু সীমিত হয়ে যায়। আমরা যদি নিজেদের অভ্যাস কিছুটা বদলে দিতে পারি, তাহলে কিন্তু আয়ু বৃদ্ধি কোনও বড় ব্যপার নয়। সকাল থেকেই তার শুরু করতে হবে। সারাদিন তা মেনে চললে স্বাভাবিক মৃত্যুর সময় পিছিয়ে দেওয়া যায়।
১. বিশেষজ্ঞদের মতে, রাতে কমপক্ষে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যাওয়া এবং সকালে একই সময়ে ঘুম থেকে ওঠার অভ্য়াস থাকলে তা ভাল। শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। অনিয়মিত সময়ে ঘুমোলে ও উঠলে শরীরে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
২. ঘুম থেকে উঠেই ফোন, ল্যাপটপ, কম্পিউটার ঘাঁটতে শুরু করা অনেকেরই অভ্যাস। এই অভ্যাস স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক খারাপ। এতে চোখ ও শরীরের অন্যান্য অঙ্গের উপর খুব চাপ পড়ে। এই বদভ্যাস একেবারেই ত্যাগ করুন। সারা দিনে ও রাতে যতটা সম্ভব স্ক্রিন টাইম কমিয়ে দিন।
৩. সকালে শরীরচর্চা বা যোগব্যায়াম করা সারা দিন আমাদের অ্যাক্টিভ থাকতে সাহায্য করে এবং এন্ডোরফিন নিঃসরণেও সহায়তা করে, যা আমাদের মস্তিষ্কের জন্য খুবই ভালো। বিজ্ঞান বলছে, সকালে যে কোনও ধরনের শারীরিক পরিশ্রম করলেই শরীর থেকে সুখী হরমোন নিঃসৃত হয়। আর এতে গোটা দিনটাই আনন্দে, খুশিতে কাটে।
৪. শরীচর্চার পাশাপাশি সকালে কিছুক্ষণ ধ্যান বা মেডিটেশনও করতে পারেন। ডিপ ব্রিদিং এক্সারসাইজ করুন। এতে মন শান্ত থাকবে। স্ট্রেস দূর হবে। চেহারায় বয়সের ছাপ পড়বে না।
৫. সারাদিন কী কী করবেন তার জন্য সকালেই লিস্ট বানিয়ে ফেলুন। তাহলে আপনি আপনার সময়কে আরও ভালভাবে ব্যবহার করতে পারবেন এবং কোনও কাজই অসম্পূর্ণ থাকবে না। পাশাপাশি স্ট্রেস কমে যাবে।
৬. সকালে উঠেই লুচি, পুরি, ভাজা খাবেন না। আবার অনেক ফল খেয়ে ফেলাও ঠিক নয়। সুষম খাবার খেতে হবে। খাবারে ব্যালান্স রাখুন। তবে পেট খালি রাখা চলবে না।
৬. ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে জল খান পর্যাপ্ত পরিমাণে। এরপর চা-বিস্কুট যাই খান দ্রুত ব্রেকফাস্ট করে নিন। রুটি, ভাত, ব্রেড, ওটস, ডালিয়া, ফল, দুধ, জুস, ডিমসেদ্ধ ভাল খাবারের মধ্যে।
এগুলি ফলো করলে শরীর ভাল থাকে আর নীরোগ শরীরে আয়ু বৃদ্ধি হয়।