বর্ষাকালে লেগেই থাকে রোগব্যাধী। শরীরে বাসা বাঁধে সর্দিকাশি, কারও কারও শুরু হয় শ্বাসকষ্টও। আর শুধু হাঁপানি রোগীরাই নয়, সুস্থ মানুষেরও এই ধরনের সমস্যা হতে পারে। তাই এই সময় ফুসফুসের যত্ন নেওয়া বিশেষ প্রয়োজন।
ভিটামিন সি ও ওমেগা ৩ - কখনও এটা লক্ষ্য করেছেন যে ডায়েটে থাকা ছোটখাটো খাবারও শরীরে সরাসরি প্রভাব ফেলতে পরে। বর্ষাকালে খাওয়া-দাওয়ার সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে ফুসফুসে। তাই এই মরসুমে ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যুক্ত ফল, সবজি ও ড্রাই ফ্রুটস অবশ্যই খাওয়া উচিত।
কী খাবেন, কী খাবেন না - বর্ষাকালে কুমড়ো, আলু, মিষ্টিআলু ও বেগুনের মতো সবজি, যাতে প্রচুর পরিমান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে সেগুলি খাওয়া উচিত। একইসঙ্গে খাওয়া উচিত রাজমা। অন্যদিকে এই মরশুমে গাজর, ব্রকলি, মুলো এবং পালং শাকের মতো শাকসবজি থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। চিকিৎসকরা বলছেন, বর্ষাকালে আঙুর, আনারস, পেঁপে, কলা বা কোনও ধরনের বেরি খাওয়া ফুসফুসের পক্ষে ভাল। কারণ এগুলিতে থাকা ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট নিঃশ্বাস প্রশ্বাসের জন্য উপকারী। এছাড়া আখরোট বাদামের মতো খাবারও খাওয়া যেতে পারে।
মশলা - বেশকিছু মশলা আছে যা এই সময় স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই ভাল। যেমন তুলসী, আদা, গোলমরিচ, রসুন ও হলুদ বিশেষভাবে উপকার দেয়।
এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স - কেউ কেউ মনে করেন বৃষ্টির ফোঁটা বাতাসে উপস্থিত বিষাক্ত উপাদানগুলিকে ফিল্টার করে, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত বিষয়টা তেমন নয়। বরং আর্দ্রতা থাকার কারণে ধূলিকণা বেশি সময় ধরে বাতাসে ভেসে বেড়ায়, যা শ্বাসপ্রশ্বাসের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই বর্ষাকালে শুধু বাইরেই নয়, বাড়িতেও এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স পরীক্ষা করা উচিত।
এগুলি পরিচ্ছন্ন রাখুন - ঘরের সোফা, পর্দা, চাদরের মতো জিনিসে যে ধুলো থাকে তা থেকে অ্যালার্জি হতে পারে। তাই বর্ষাকালে এগুলি পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা অবশ্যই প্রয়োজন।