বর্ষায় ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রকোপ একটু বেশি থাকে। সচরাচর আমরা মনে করি, সর্দি বা কাশি শুধুমাত্র শীতেই হয়। তবে বর্ষাকালেও ইনফ্লুয়েঞ্জা বা সর্দিগর্মি হতে পারে। অধিক ঘনবসতিপূর্ণ, যেমন– শিল্প-কারখানা, বাজার, হস্টেল, এমনকি বসতবাড়িও বর্ষায় স্যাঁতসেঁতে হতে পারে। এমন পরিবেশে সহজেই বেড়ে ওঠে ছত্রাকসহ বিভিন্ন অণুজীব। এসব অণুজীব সহজেই বাতাসের সাহায্যে আমাদের ফুসফুসে ঢুকে আক্রান্ত করে ফেলতে পারে।
এখানে একটি বিষয় না বললেই নয়। ফুসফুসকে বাঁচিয়ে রাখতে পারলে অন্য অঙ্গগুলো ফেইলিউর হলেও রিভার্স করানো কিংবা বাঁচানো সম্ভব। কিন্তু একবার যদি ফুসফুস নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে সব অঙ্গ ভালো থেকেও ফুসফুসকে রক্ষা করতে পারে না।
এক্ষেত্রে আপনি কি করতে পারেন?
বাড়ির ভেতর আর্দ্র ও শুষ্ক পরিবেশ রাখতেই হবে। ধুলোবালি বর্ষায় ঘরে নানাভাবে জমে। এই ধুলো অনেক সময় ক্ষতিকর হতে পারে। নিয়মিত ঘর পরিষ্কার করুন।
বর্ষায় অনেকে ভেজা জামা-কাপড় ঘরের ভেতর দড়ি টাঙিয়ে শুকোন। এমনটি করবেন না। কারণ ঘরের পরিবেশ স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে যায়।
বর্ষায় ফ্রিজ থেকে অনেকেই ঠান্ডা জল খাওয়ার অভ্যাস রাখেন। বাইরের ভ্যাপসা গরম থেকে এসে এমনভাবে খাওয়া ঠিক না।
পর্যাপ্ত পরিমাণ জল খান। বর্ষায় খাদ্যনালী শুষ্ক থাকে। তাই খাদ্যনালী থেকে সংক্রমণ ঠেকাতে পর্যাপ্ত জল পান করুন। শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করুন।