দিল্লি, মুম্বই সহ একাধিক রাজ্যে বর্ষা ইতিমধ্যেই চলে এসেছে। বর্ষার বৃষ্টি একদিকে যেমন গরমের হাত থেকে রেহাই দেয়, তেমনি এই মরশুমের কারণে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়ার মতো রোগও মানুষকে অসুস্থ করে তোলে। এই মরশুমে জরুরি যে আপনি আপনার স্বাস্থ্যের প্রতি কোনও ধরনের গাফিলতি যেন না করেন আর সাবধানে থাকেন। বৃষ্টির মরশুমে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ বাইরের খাবার থেকেই হয়ে থাকে। এইজন্য অবশ্যই বর্ষাকালে এই বিষয়গুলির দিকে নজর রাখতে হবে।
বর্ষার সময় এই টিপসগুলো তাই মেনে চলুন
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী, সর্বদা জল ফুটিয়ে খাওয়া উচিত। জল ফোটালে এতে থাকা ব্যাকটেরিয়া আর জীবাণু নষ্ট হয়ে যায়। এছাড়া রোজ সকালে উষ্ণ গরম জলে লেবু চিপে খেলে তা শরীর থেকে ক্ষতিকারক জিনিস বের করে দিতে সাহায্য করে।
কম নুন খান
বর্ষার সময় খাবারে কম নুন বা স্বাদ অনুসারে নুন রাখা উচিত। নুন শরীরে সোডিয়ামের মাত্রাকে বাড়িয়ে তোলার কাজ করে। যেটা পরবর্তীকালে উচ্চ রক্তচাপের কারণ হতে পারে। হাইপারটেনশন, কার্ডিওভ্যাকসুয়াল ও ডায়াবেটিসের রোগীদেরও খাবারে নুন মেপে খাওয়া উচিত।
মরশুমি ফল খান
এই মরশুমে শুধুমাত্র মরশুমি ফল খাওয়া উচিত। বর্ষার সময় আপনি জাম, পেঁপে, বেরি, আপেল, বেদানা, পিচ ও নাশপাতির মতো ফল খাওয়া উচিত। এই ফল থেকে পাওয়া পুষ্টি শরীরে ইনফেকশন, অ্যালার্জি ও সামান্য রোগ থেকেও দূরে রাখতে সহায়তা করে।
পর্যাপ্ত ঘুমোন
বর্ষার সময় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়তে পারে এমন খাবার খাওয়া দরকার। এর মধ্যে আপনাকে কুমড়ো, ড্রাই ফ্রুটস, ভেজিটেবিল স্যুপ, বিটরুট ও টোফুর মতো খাবার খাওয়া উচিত। এছাড়াও রোজ ৭-৮ ঘণ্টা পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজন।
রাস্তার খাবার থেকে দূরে থাকুন
বর্ষার মরশুমে স্ট্রীট ফুড খেতে সকলেরই মন চায়। কিন্তু যদি আপনি নিজের স্বাস্থ্যকে ভালোবাসেন তবে বাইরের খাবার থেকে দূরে থাকুন। কারণ স্ট্রীট ফুড তৈরির সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা সেভাবে বজায় রাখা হয় না। আর সেই কারণে অনেক সময় বাইরে রাখা খাবা বা তেলে ভাজান খাবার খেলে পেটের সমস্যা হতে পারে।
কাঁচা খাবার খাবেন না
বর্ষার সময় আপনি কাঁচা খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে। এই মরশুমে মেটাবলিজম বেশ ধীরে কাজ করে। যার ফলে খাবার দেরি করে হজম হয়। বর্ষার সময় বাইরের জুস ও স্যালাড খাওয়া এড়িয়ে চলুন। বেশিক্ষণ ধরে কাটা ফল খাওয়াও উচিত নয়।