Advertisement

মিউজিয়াম অব ব্যাড আর্ট: হাস্যকর, বাতিল ছবির এক অদ্ভুত সংগ্রহশালা!

অদ্ভুত সংগ্রহশালা, নাম ‘মিউজিয়াম অব ব্যাড আর্ট’! এর নাম থেকেই অনায়াসে আন্দাজ করা যায়, এখানে ঠিক কী ধরনের শিল্প সামগ্রী সংগৃহীত রয়েছে। তবুও, বাতিল বা বিগড়ে যাওয়া এমনই শতাধিক ছবি ও শিল্পসামগ্রী দেখতে এখানে ভিড় করেন শ’য়ে শ’য়ে মানুষ।

মিউজিয়াম অব ব্যাড আর্ট!
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 31 Oct 2020,
  • अपडेटेड 9:09 PM IST
  • অদ্ভুত সংগ্রহশালা, নাম ‘মিউজিয়াম অব ব্যাড আর্ট’!
  • প্রশংসার অযোগ্য, কদর্য, খারাপ শিল্প সামগ্রী এই সংগ্রহশালায় সযত্নে সাজানো রয়েছে।
  • বাতিল বা বিগড়ে যাওয়া এমনই শতাধিক ছবি ও শিল্পসামগ্রী দেখতে এখানে ভিড় করেন শ’য়ে শ’য়ে মানুষ।

অদ্ভুত সংগ্রহশালা, নাম ‘মিউজিয়াম অব ব্যাড আর্ট’! এর নাম থেকেই অনায়াসে আন্দাজ করা যায়, এখানে ঠিক কী ধরনের শিল্প সামগ্রী সংগৃহীত রয়েছে। প্রশংসার অযোগ্য, কদর্য, খারাপ শিল্প সামগ্রী এই সংগ্রহশালায় সযত্নে সাজানো রয়েছে।
মূলত, শিল্পের পিছনে শিল্পীর প্রচেষ্টা আর পরিশ্রমকে গুরুত্ব আর উৎসাহ দেওয়ার উদ্দেশ্যেই ১৯৯৪ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটসের ডেঢেমে এই বিচিত্র সংগ্রহশালাটি গড়ে তোলা হয়। তবে বর্তমানে ম্যাসাচুসেটসের ডেঢেম ছাড়াও, ব্রুকলাইন, সামারভিল আর সাউথ উইমেথ-এ ‘মিউজিয়াম অব ব্যাড আর্ট’-এর শাখা রয়েছে।
এই সংগ্রহশালার গ্যালারি ঘুরে দেখে মনে হতেই পারে ছোটদের কাঁচা হাতের রং তুলিতে ‘বসে আঁকো প্রতিযোগিতা’য় আঁকায় ভরে ওঠা ছবি দিয়ে সাজানো ‘মিউজিয়াম অব ব্যাড আর্ট’। এই গ্যালারির কোনও ছবি দেখে কখনও হঠাৎ দ্য ভিঞ্চির অমর সৃষ্টি ‘মোনালিসা’র অনুকরণে আঁকা ব্যঙ্গ চিত্র মনে হতে পারে। কোনও ছবি হয়তো মনে করিয়ে দেবে ‘হামটি ডামটি’র কথা। এ ছাড়াও প্যাস্টেল বা মোম রঙে আঁকা একাধিক ছবি রয়েছে এখানে যেগুলিকে দেখে কোনও শিশুর কাঁচা হাতের সৃষ্টি বলেই মনে হবে।
কী ভাবে এই বিচিত্র সংগ্রহশালাটি গড়ে তোলার কথা ভাবা হয়? ১৯৯৩ সালে আবর্জনায় পড়ে থাকা একটি তৈলচিত্র দেখে প্রথম এই ধরনের মিউজিয়াম গড়ে তোলার কথা ভেবেছিলেন অ্যান্টিক সামগ্রীর ব্যবসায়ী স্কট উইলসন। তার পর ১৯৯৪-তে প্রথমে ডেঢেম-এ, পরে ব্রুকলাইন, সামারভিল আর সাউথ উইমেথ-এ  ‘মিউজিয়াম অব ব্যাড আর্ট’-এর শাখা গড়ে তোলা হয়।
বর্তমানে এই সংগ্রহশালার চারটি শাখা মিলিয়ে এমন ছ’শোরও বেশি শিল্পসামগ্রী রয়েছে যেগুলির কোনওটাই কখনও কোনও দর্শক বা সমালোচকের প্রশংসা পায়নি। তবুও, বাতিল বা বিগড়ে যাওয়া এমনই শতাধিক ছবি ও শিল্পসামগ্রী দেখতে এখানে ভিড় করেন শ’য়ে শ’য়ে মানুষ।

 

Advertisement

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement