আলু রান্নার আগে সাধারণভাবে খোসা ছাড়ানো হয়। তাড়াহুড়োতে অনেক সময়ই খোসা কিছুটা থেকে যায়। তবে আপনি কি জানেন খোসা সহ আলু খাওয়া উপকারী না ক্ষতিকর? আসুন জানা যাক...
বেশিরভাগ মানুষ খোসা ছাড়ানোর পরে আলু ব্যবহার করেন। অনেকেরই অজানা, খোসা সহ আলু খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভাল হতে পারে। আলুর খোসা শুধু ফাইবার এবং পুষ্টিগুণেই সমৃদ্ধ নয়, এটি আলুতে উপস্থিত পুষ্টিগুণ সংরক্ষণেও সাহায্য করে।
আপনি যদি খোসা সহ আলুর সঙ্গে মাখন, পনির, বেকন এবং টক ক্রিম খাওয়া বন্ধ করেন, তবে এটি আপনার ডায়েটে আরও অনেক পুষ্টি যোগ করতে কাজ করতে পারে। এর আরও অনেক উপকারিতা জানলে হয়েছে।
* একটি আলুর খোসায় মাত্র ১১০ ক্যালোরি থাকে। চর্বি ও কোলেস্টেরলবিহীন আলু হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। আলু ভাজতে বা সিদ্ধ করার সময় খোসা রাখলে এর পুষ্টিগুণ থাকে। খোসা সহ ভাজা আলু খেলে এর স্বাস্থ্য উপকারিতা বেড়ে যায়। আপনি যদি আলু ডিপ ফ্রাই করেন এবং পনির এবং বেকনের সঙ্গে মিশ্রিত করেন, তবে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পায়।
* আলু সহ অনেক সবজিতে ফাইবার থাকে। ফাইবার স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। ফাইবার আপনাকে তাড়াতাড়ি ক্ষুধার্ত বোধ করতে দেয় না, যা আপনাকে ওজন কমাতেও সাহায্য করে। এটি রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়, ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায়। আলুতে ২ গ্রাম ফাইবার থাকে, যার বেশিরভাগই খোসায় পাওয়া যায়। প্রাপ্ তবয়স্কদের প্রতি ১০০০ ক্যালোরিতে কমপক্ষে ১৫ গ্রাম ফাইবার গ্রহণ করা উচিত। খোসা সহ একটি আলু খেলে দৈনিক খাওয়ার কোটা ৮ শতাংশ পূরণ হয়।
* খোসা সহ আলুও পটাশিয়ামের ভাল উৎস। শরীরের সমস্ত কোষ এবং অঙ্গ সঠিকভাবে কাজ করার জন্য পটাসিয়াম প্রয়োজনীয়। যেহেতু আলু মাটির নীচে জন্মায়, তাই আলুর খোসায় পটাসিয়ামের মতো অনেক খনিজ পদার্থ থাকে। একটি আলুতে ৬২০ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম থাকে। যা, ৪৭০০ মিলিগ্রাম পটাসিয়ামের দৈনিক গ্রহণের বেশিরভাগই সরবরাহ করে।
* আলু এবং আলুর খোসায়ও প্রচুর ভিটামিন থাকে। খোসা সহ একটি আলু খেলে দিনে প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি -এর ৪৫ শতাংশ যোগান দেয়। ভিটামিন সি ভাল ইমিউন সিস্টেম, সংযোগকারী টিস্যু এবং কোষ মেরামতের জন্য অপরিহার্য।
* আলুর খোসা মেটাবলিজম ঠিক রাখতেও সহায়ক। আলুর খোসা খেলে স্নায়ু শক্তিশালী হয়।
* আলুর খোসায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি৩ পাওয়া যায়। ভিটামিন বি৩ শক্তি দিতে কাজ করে। এছাড়া এতে উপস্থিত নিয়াসিন কার্বোহাইড্রেটকে শক্তিতে রূপান্তরিত করে।
* আলুর খোসায় ভাল পরিমাণে আয়রন থাকে, যা রক্তস্বল্পতার ঝুঁকি কমায়।