শরীরকে সুস্থ রাখতে কিডনির সুস্থতা জরুরি। রক্তকে পরিষ্কার রাখতে, বিষ হঠাতে, হরমোন তৈরি, খনিজ এবং ফ্লুইডের ভারসাম্য বজায় রাখে কিডনি। কিডনির অসুখে নানা কারণ থাকে। ডায়াবিটিস ও উচ্চ রক্তচাপ সবচেয়ে বড় কারণ। এছাড়া মদ, হৃদরোগ, হেপাটাইটিস সি আর এইআইভি-ও কিডনির অসুখের বড় কারণ। কিডনির অসুখ রয়েছে এমন রোগীদের সতর্ক থাকতে হয়। ভুলেও খাবেন না কয়েকটি খাবার।
কমলা লেবু ও কমলা লেবুর রস- কমলা লেবুর রসে থাকে ভিটামিন সি। এতে রয়েছে পটাশিয়ামও। একটি বড় লেবুতে থাকে ৩৩ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম। ১ কাপ রসে ৪৭৩ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম থাকে। এজন্য কিডনির রোগীদের কমলা লেবু খাওয়া উচিত নয়। আঙুর খেতে পারেন। এতে পটাশিয়াম মাত্রা কম।
আচার ও চাটনি- আচার ও চাটনিতে থাকে নুন। সোডিয়াম কিডনির পক্ষে ভাল নয়। শরীরে জন্য এটি ক্ষতিকারক। কিডনির সমস্যা থাকলে এটা খাবেন না।
আলু- মধ্যম আকারের আলুতে থাকে ৬১০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম। আলু কাটার পর অন্তত ১০ মিনিট গরম জলে দিয়ে ফোটান। কমে ৫০ শতাংশ পটাশিয়াম। রান্না করার ৪ আগে থেকে আলু জলে ভিজিয়েও রাখতে পারেন। কমবে পটাশিয়াম মাত্রা।
কলা- কলায় পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি। ১টি মিডিয়াম সাইজ কলায় রয়েছে ৪২২ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম। কিডনি সমস্যা থাকলে কম করে কলা খান। কলা কমিয়ে আনারস খেতে পারেন।
দুগ্ধজাতীয় পণ্য- ডেয়ারি পণ্যে থাকে ভিটামিন ও খনিজ। ফসফরাস, পটাশিয়াম ও প্রোটিন পাওয়া যায়। অতিরিক্ত খেলে হাড়ের ক্ষয় হয়। কিডনির সমস্যা থাকলে রক্তে ফসফরাসের মাত্রা বেড়ে যায়। তাতে ক্ষয়ে যায় হাড়।
কালো সোডা- কালো সোডায় থাকে ফসফরাস থাকে। বিভিন্ন খাবারের আয়ু বাড়াতে কালো সোডার ব্যবহার করা হয়।
ক্যানবন্দি খাবার- স্যুপ, নানা ধরনের ড্রিংকস থাকে ক্যানে। এগুলি খাওয়া উচিত নয়। কারণ এতে সোডিয়াম থাকে।
লাল পাউরুটি- গমের পাউরুটিতে থাকে নানা পুষ্টিগুণ। তবে কিডনির সমস্যা থাকলে এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। কারণ সাদা পাউরুটির চেয়ে লাল পাউরুটিতে বেশি মাত্রায় ফসফরাস ও পটাশিয়াম থাকে।
আরও পড়ুন- অতিরিক্ত নুন, চিনি-সহ এই ১০ বদভ্যাসে অকোজে হয় আপনার কিডনি