রান্নায় হোক বা খাবারের স্বাদ বাড়ানোর জন্য আমরা টেবল সল্ট হিসাবে প্রক্রিয়াজাত সাদা নুনই ব্যবহার করে থাকি। যদিও চিকিৎসক-পুষ্টিবিদদের মতে এই নুন বেশি খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। এটা শরীরের পক্ষে একেবারে ভালো নয়। তবে সি সল্ট বা সৈন্ধব লবণ শরীরের জন্য বেশ উপকারী। এই নুনের দানা বড় বড় হয়। অনেক সময় ডেলার মতোও হয়। আর এর রংও টেবল সল্টের মতো অতটা সাদা হয় না। কিছুটা লালচে ভাব থাকে। প্রক্রিয়াকরণের আগের পর্যায় হল এই সৈন্ধব নুন। এই নুনের একগুচ্ছ উপকারিতা।
এই সৈন্ধব লবণ বা সন্ধক লবণকে অনেকে হিমালয়ান পিঙ্ক সল্টও বলে থাকেন। হিমালয়ান এই গোলাপী নুন নিজে থেকেই সাংঘাতিক গুণ সম্পন্ন, এতে এমন কিছু বিশেষত্ব রয়েছে যা মানুষের জটিল রোগের সমাধান করতে পারে। শরীরের দীর্ঘ দিনের সমস্যা থেকে এটি ঠিক কিভাবে আরাম প্রদান করে জানুন।
পুষ্টি সরবরাহ করে
অন্যান্য নুনের মত এটি পিত্ত দশাকে বাড়িয়ে তোলে না। বরং শরীরের প্রয়োজনে তিনটি দশাকে সমানভাবে সক্রিয় রাখে। শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে।
পেশীর ব্যথায় সাহায্য করে
এক চুটকি সৈন্ধব লবণ তিলের তেলে মিশিয়ে সেটিকে পেশী কিংবা গাঁটে মালিশ করুন, ব্যথা অনেক কমবে। এটি আড়ষ্ঠ ভাব কম করে, শরীরে প্রদাহ কমিয়ে ব্যথার সম্ভাবনা বাড়ায়। সম্ভব হলে এই তেল মালিশ করার পর সাওনা বাথ নেবেন।
বুকে কষ্ট দুর হয়
গরম তেলের সঙ্গে এই লবণ মিশিয়ে বুকে মালিশ করলে অনেক রেহাই পাবেন। বুকের কষ্ট, শক্ত ভাব কমবে। আবার এক কাপ সৈন্ধব লবণ, একটি তাওয়ায় গরম করে (৫ মিনিট মত ) সেটিকে একটি শুকনো কাপড়ে পুরে বুকের চারপাশে সেঁক দিলে আরাম পাবেন।
পেশীতে আড়ষ্ঠ ভাব এবং টান লাগা
উষ্ণ জলে এক চামচ এই লবণ মিশিয়ে পান করতে হবে। এটি ম্যাজিকের মত কাজ করবে। সবথেকে বড় কথা, মিনারেলের সমস্যা এবং শারীরিক গতি নিয়ে আর কোনও সমস্যা থাকবে না।
গলা ব্যথা কমায়
গরম জলে এই লবণ ফেলে গারগল করলে সহজেই গলা ব্যথা কমে। শুধু তাই নয়, বরং টনসিলের ক্ষেত্রেও এটি সমান উপকারী।
ওজন কমাতে সহায়ক
এই লবণ অতিরিক্ত খিদের ভাব হ্রাস করে এবং শরীরে জমে থাকা চর্বি ঝরিয়ে দেয়। সঙ্গে শরীরে জমে থাকা জলের পরিমাণও কমায়। তাই যারা ওজন কমানোর কথা ভাবছেন তারাও সন্ধক লবন খেতে পারেন।