শীতের মরসুম প্রায় এসেই গেছে। ঠান্ডা থেকে বাঁচতে মানুষ রকমারি উল বা শীত পোশাক পরে। উল, উত্তাপের একটি ভাল পরিবাহী এবং এর তন্তুর মধ্যে লুকিয়ে থাকা তাপ পরিবাহক শরীর থেকে উৎপন্ন তাপকে জামাকাপড়ের ভেতরে আটকে রাখে। এই কারণেই উলের পোশাক থেকে ঠান্ডা আমাদের শরীরে প্রভাব ফেলে না। অনেকে রাতে সোয়েটার পরেই ঘুমায়। এর ফলে স্বাস্থ্যের কতটা ক্ষতি হতে পারে, তা তারা জানেন না। আসুন জানা যাক, শীতকালে রাতে উলের জামাকাপড় পরে ঘুমানো কেন উচিত নয়?
বিশেষজ্ঞদের মতে, শীতের মরসুমে আমাদের রক্তনালী সঙ্কুচিত হয়ে যায়। উলের জামাকাপড় পরে লেপ- কম্বলের ভিতরে ঘুমতে আমাদের শরীর অতিরিক্ত গরম করে তোলে। তবে কখনও কখনও এটি অস্থিরতা, নার্ভাসনেস এবং নিম্ন রক্তচাপের সমস্যাকেও উন্নীত করতে পারে। গরম জামাকাপড় পরতে চাইলে, থার্মোকোট পরতে পারেন।
আরও পড়ুন: পছন্দের তালিকায় রয়েছে রেড মিট? সুস্বাস্থ্যের জন্য খান চিকেন
উলের জামা পরে ঘুমানোর ফলে অ্যালার্জি বা চুলকানি হতে পারে। ত্বক নরম হলে এই ধরণের শীতের পোশাকে প্রসারিত হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।তবে শুষ্ক ত্বকে প্রসারিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এ কারণে ত্বকে ফুসকুড়ির সমস্যা বেড়ে যায়। এজন্যে শীতে কখনই উলের সোয়েটার পরে ঘুমাবেন না। এছাড়া সোয়েটার পরার আগে শরীরে ভাল মানের বডি লোশন লাগিয়ে নিন। এতে ত্বক আর্দ্র থাকবে এবং অ্যালার্জি হওয়ার সম্ভাবনা কমবে।
আরও পড়ুন: খেতে ভাল হলেও নারকেলের রয়েছে প্রচুর অপকারিতা! খাওয়ার আগে জানুন...
উলের জামাকাপড়ে ফাইবার সাধারণত তুলোর তন্তুর চেয়ে বেশি পুরু হয়। শীতকালে, মানুষ চাদর বা লেপ- কম্বল গায়ে নিয়ে দিয়ে ঘুমায় এবং এর মধ্যে যদি উলের কাপড় পরলে, এই তন্তু আমাদের শরীরের তাপকে ভিতরে আটকে রাখে। কিছু ক্ষেত্রে, লেপ এবং শরীর দ্বারা উৎপন্ন তাপ ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগীদের জন্য মারাত্মক প্রমাণিত হতে পারে। তাই শীতে উলের সোয়েটার পরে ঘুমানোর ভুল করা উচিত নয়।
আরও পড়ুন: এই ৪ জিনিস বাড়িতে রাখলে তুষ্ট হন দেবী লক্ষ্মী, দূর হয় টাকার অভাব
শরীর গরম রাখার জন্য ভাল হলেও, শরীর থেকে বের হওয়া ঘাম ভাল ভাবে শোষণ করে না উল। ফলে এর থেকে ব্যাকটেরিয়া তৈরি হয় এবং অনেক সময় শরীরে ফুসকুড়িও বের হয়। পা গরম ও শুষ্ক পরিবেশ পছন্দ করে। সুতির মোজা শুধু পায়ের জন্যই আরামদায়ক নয়, এটি সহজেই ঘাম শুষে নেয়। তাই শীতকালে উলের পরিবর্তে সুতির মোজা পরে ঘুমানোর পরামর্শ দেওয়া হয়।