ডায়াবেটিস খুবই ভায়ানক অসুখ। এটি পুরোপুরি নিরাময় করা যায় না। তবে জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন এনে এটিকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। যখন দেহে পর্যাপ্ত পরিমানে ইনসুলিন তৈরি হয় না বা তার সঠিক ব্যবহার হয় না, তখনই ডায়াবেটিস দেখা দেয়। যার ফলে শরীরে ব্লাড সুগারের মাত্রা বেড়ে যায়। সেক্ষেত্রে সঠিক ডায়েট ও জীবনযাত্রায় পরিবর্তন এনে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা যেতে পারে।
অনেকেই আছেন, যাঁরা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার পরেও ধূমপান করেন। আর সেটি শরীরের পক্ষে খুবই বিপজ্জনক প্রমাণিত হতে পারে। কারণ ডায়াবেটিসে ধূমপান করলে ব্লাড সুগারের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। এছাড়াও দেহে তৈরি হয় আরও বেশকিছু সমস্যা। চলুন বিষয়টি বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয় যাক।
ধমনী শক্ত হয়ে যায় - ধূমপানের কারণে ডায়াবেটিস রোগীদের ধমনী খুব শক্ত হতে শুরু করে, যার ফলে তাঁদের সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে।
হার্ট সংক্রান্ত সমস্যা - যাঁরা ডায়াবেটিস থাকা সত্ত্বেও ধূমপান করেন, তাঁদের হার্ট সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যার ঝুঁকি থাকে। বেড়ে যায় হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কাও।
কিডনি সংক্রান্ত রোগ - ডায়াবেটিসের মাঝে ধূমপান করলে, কিডনির রোগ ও চোখের সংক্রমণের ঝুঁকিও বেড়ে যায়।
গ্লুকোজের মাত্রা ওঠা নামা করা - কেউ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার পরেও ধূমপান চালিয়ে গেলে তাঁর দেহে গ্লুকোজের মাত্রা ওঠা নামা করতে পারে। যার জেরে শরীরে অসুস্থতা বাড়তে পারে।
অ্যালবুমিনের সমস্যা - এই রোগে প্রস্রাবে অস্বাভাবিক পরিমাণ অ্যালবুমিন পাওয়া যায়। এটি এক ধরনের প্রোটিন। স্বাভাবিক অবস্থায় সবার প্রস্রাবে অ্যালবুমিন পাওয়া গেলেও কিডনি রোগের কারণে প্রস্রাবে অ্যালবুমিনের পরিমাণ অনেক বেড়ে যায়। এই রোগের কারণে নার্ভাস হওয়ার প্রবণতা যেমন অনেক বেড়ে যায়, তেমনই ক্ষত সারতেও অনেক সময় লাগে।
টাইপ ২ ডায়াবেটিস - যাঁরা ধূমপান করেন তাঁদের টাইপ ২ ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকিও অন্যদের তুলনায় অনেকটাই বেশি। তাই ধূমপান এড়িয়ে চলুন।
আরও পড়ুন - শীতে ত্বকের যত্ন থেকে ইমিউনিটি বৃদ্ধি, এই তেল মহৌষধ