বছরের শেষ সূর্যগ্রহণ হতে চলেছে ২ অক্টোবর অর্থাৎ আজ বুধবার। এই সূর্যগ্রহণ ৬ ঘণ্টা ৪ মিনিট স্থায়ী হবে। এই সূর্যগ্রহণের দিনটি হল সর্ব পিতৃ অমাবস্যা, যা আশ্বিন অমাবস্যা তিথিতে পড়ে। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, সূর্যগ্রহণ সর্বদা অমাবস্যার দিনে ঘটে, অন্যদিকে চন্দ্রগ্রহণ সর্বদা পূর্ণিমার দিনে ঘটে। সূতক সময় সূর্যগ্রহণের ১২ ঘণ্টা আগে শুরু হয়। এর মধ্যে কোন শুভ কাজ নেই।
খাবার খাওয়া ও রান্না করার ওপর নিষেধ
সূর্যগ্রহণের সময় খাবার খেতে এবং রান্না করতে নিষেধ করে থাকেন অনেক জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞরা। জ্যোতিষবিজ্ঞান অনুযায়ী, সূর্যদেবতা মানুষের ভাগ্যের উপর প্রভাব ফেলে। সুতরাং, যদি এই বিশেষ দিনে আপনার খাবার খাওয়া বা নিজের গতিবিধির উপর কিছু নিয়ম রয়েছে৷ তবে এটি খুব হালকা এবং কাঁচা এবং সতেজ হওয়া বাঞ্ছনীয়৷ তাই সূর্যগ্রহণের দিনে কিছু খাওয়ার আগে মানুষের সাবধান হওয়া উচিত এবং গ্রহণের সময় খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। বিজ্ঞানের পাশাপাশি কিছু লোকাচারও রয়েছে এই নিয়ে। যেমন জল গ্রহণ না করা, খাবর না খাওয়ার মতো অনেক নিয়ম রয়েছে।
কী বলছে বিজ্ঞান
বিজ্ঞান মতে, গ্রহণের সময় যে রশ্মি বের হয় তা রান্না করা খাবারে ব্যাকটেরিয়া তৈরি করতে পারে, এটা খাবারকে অশুদ্ধ বা অস্বাস্থ্যকর করে তোলে। তাই গ্রহণের সময় যে কোনও খাবার ঢেকে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। এছাড়াও বলা হয় যে খাবারে তুলসী পাতা দিতে, কারণ এই পাতা রান্না করা খাবারকে রক্ষা করে। অনেকেই রয়েছেন এই সময় আমিষ খাবার খেতে চান না। কারণ সেটাকে অশুভ বলে মনে করা হয়। অনেকেই আবার সূর্যগ্রহণের আগে খাবার তৈরি করেন না। বরং গ্রহণের পর সদ্য তৈরি করা খাবার খেতেই বেশি পছন্দ করেন।
কোন কোন খাবার খেতে নেই
অনেক জায়গার বিশ্বাস অনুযায়ী, সূর্যগ্রহণে আচার, দই, চিজ এই জাতীয় খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলে। তাঁদের বিশ্বাস এই ধরনের খাবারে গ্রহণের খারাপ শক্তি চলে আসতে পারে। যদিও এটা একেবারেই এক এক জনের সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় বিশ্বাস। এর সঙ্গে বিজ্ঞানের কোনও যোগ নেই। বরং বিজ্ঞান বলছে, গ্রহণের সময় খাবার খেলে, জল পান করলে কোনও ক্ষতি হয় না।
কী কী খাবার খাবেন
সূর্যগ্রহণের সময় সাত্ত্বিক এবং হালকা খাবার খেতে বলা হয়৷ যেহেতু সেই সময় অন্ধকার হয় তাই ব্যাকটেরিয়া ছড়াতে পারে৷ ফলে ব্যাকটেরিয়া নষ্ট করে যে খাবার যেমন যেমন হলুদ, আদা, তুলসী ইত্যাদি খাবারে থাকা ভাল। নারকেল জল,কাঁচা ফল খেতে পারেন। যদিও গ্রহণকালে কিছু খাওয়া ঠিক নয়।