Guava Leaves For Cholesterol: পেয়ারা বরাবরই একটি পুষ্টিকর ফল হিসেবে বিবেচিত। তবে আপনি জানলে অবাক হবেন এই ফলের পাতা, বাকল, ফুল এবং শিকড়গুলিও বেশ কয়েকটি রোগ নিরাময়ের জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এই সুস্বাদু ফলটি ফাইবার, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, নিয়াসিন, থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন, ক্যারোটিন এবং লাইকোপেনের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এবং আয়রনের মতো পুষ্টিতে ভরপুর।
যেমন পেয়ারা পাতায় এমন সব প্রয়োজনীয় গুণ ও উপাদান পাওয়া যায় যা স্বাস্থ্য ভালো রাখে। কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে এবং হার্টকে সুস্থ রাখতেও পেয়ারা পাতা ব্যবহার করা যেতে পারে । NCBI-তে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে, পেয়ারা পাতার রস পান করা খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। কোলেস্টেরল একটি নোংরা পদার্থ যা রক্তনালীতে জমা হয় এবং তাদের ব্লক করে, যার কারণে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক এবং হার্ট সম্পর্কিত অনেক রোগের ঝুঁকি থাকে।
পেয়ারা পাতা খারাপ কোলেস্টেরল নিঃসরণ করবে
বিজ্ঞানীরা মনে করেন যে পেয়ারা পাতায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন পাওয়া যায় যা ফ্রি র্যাডিক্যালের কারণে হওয়া ক্ষতি থেকে হৃদযন্ত্রকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এতে রয়েছে পটাশিয়াম এবং ফাইবার যা হার্টকে সুস্থ রাখে। পেয়ারা পাতার রস ব্লাড প্রেশার কমিয়ে খারাপ অর্থাৎ এলডিএল কোলেস্টেরল কমাতে পারে।
কোলেস্টেরল রোগীরা দারুণ উপকার পেয়েছেন
গবেষকরা গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের ৬ সপ্তাহ ধরে পেয়ারা পাতার রস পান করান। এই সময়ের পরে তারা দেখতে পান যে তাদের রক্তচাপ এবং মোট কোলেস্টেরল ৯.৯% কমে গেছে।
পেয়ারা ভালো কোলেস্টেরল বাড়ায়
১২০ জনের উপর ১২ সপ্তাহের একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে খাবারের আগে পাকা পেয়ারা খাওয়া রোগীদের "ভাল" এইচডিএল কোলেস্টেরল ৮% বাড়িয়ে দেয়।
পেয়ারা রক্তে সুগারের মাত্রাও কমায়
পেয়ারা রক্তে সুগার কন্ট্রোলেও সহায়ক। পেয়ারা পাতার রস রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। আপনি যদি ডায়াবেটিক রোগী হন, তাহলে নিয়মিত পেয়ারা খাওয়া উচিত।
পেয়ারা পাতা কীভাবে ব্যবহার করবেন
কোলেস্টেরল কমাতে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে পেয়ারা পাতা ব্যবহার করতে পারেন নানাভাবে। আপনি এগুলি চিবিয়ে নিতে পারেন বা সিদ্ধ করে চায়ের মতো পান করতে পারেন। তবে কোন পদ্ধতি ট্রাই করার আগে, একজন ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
Disclaimer: এই নিবন্ধটি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য। এটি কোনোভাবেই কোনো ওষুধ বা চিকিৎসার বিকল্প হতে পারে না। আরও বিস্তারিত জানার জন্য সর্বদা আপনার ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন।