Brain And Nurve Damage Food: : হসপিটাল নিউট্রিশন জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য এবং খাদ্যের মধ্যে একটি বিশেষ যোগসূত্র রয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে যে অস্বাস্থ্যকর খাবার শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ ও বিষণ্নতা, ডিপ্রেশন সৃষ্টি করে।
কোন কোন খাবার বাদ দিতে হবে?
সাইকোলজি জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, কিছু খাবার যেমন সফট ড্রিঙ্কস, প্রক্রিয়াজাত মাংসের প্রডাক্ট, প্যাকেটজাত স্ন্যাকস, চিপস এবং কেক মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। এই খাবারগুলিতে ৬০% ক্যালোরি থাকে যা বেশিরভাগ লোকেরা গ্রহণ করে।
ভালো খাবার শুধু শরীরকে সুস্থ রাখে না মনকেও সুস্থ রাখে। শরীরের মতো মস্তিষ্কেরও দরকার ভালো খাবার ও পুষ্টি উপাদান। মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের অবনতি হলে একজন ব্যক্তি বিষণ্নতা বা ডিপ্রেশনের শিকার হন এবং উদ্বেগের মতো সমস্যা বাড়তে থাকে। নির্দিষ্ট কিছু খাবার খেলে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধির পাশাপাশি মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
এসব খাবার শারীরিক ও মানসিক উভয়েরই ক্ষতি করে। এসব খাবার খেলে স্নায়ুতন্ত্রের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে এবং মানুষ হতাশা ও উদ্বেগের শিকার হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, মস্তিষ্কের শক্তি বাড়াতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আসুন বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে জেনে নেওয়া যাক কোন খাবারগুলো মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য, যা মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা দূর করে।
মস্তিস্কের শক্তি বাড়াতে, হতাশা ও দুশ্চিন্তা দূর করতে এবং ব্রেন ও শরীরকে সচল রাখতে সকালের ব্রেকফাস্টে এই বিশেষ খাবারগুলো অন্তর্ভুক্ত করুন
১. মস্তিষ্কের শক্তি বাড়াতে, হতাশা ও দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পেতে প্রতিদিন দুধের সঙ্গে বাদাম, আখরোট এবং কিশমিশ খেতে হবে। এসব খাবার স্মৃতিশক্তি বাড়ায় এবং ডিপ্রেশন দূর করে।
২. সকালে ও সন্ধ্যায় এক চামচ ব্রাহ্মী চূর্ণ খান।
৩. সাদা কুমড়োর রস মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো, এটি খান।
৪. গরুর ঘি ও গরুর দুধ পান করলেও মস্তিষ্ক ঠিকভাবে কাজ করে এবং মানসিক চাপ দূর হয়।
৫. তিলের তেল দিয়ে মাথায় মালিশ করুন, ব্রেন পাওয়ার বাড়বে।
৬. কুমড়োর বীজ, টমেটো এবং ব্রকলি খান, মস্তিষ্ক সুস্থ থাকবে।