কথাতেই আছে মাছে-ভাতে বাঙালি। বাঙালি পারলে সারাদিনই ভাত খায়। সকাল-দুপুর ও রাতে অনেক বাঙালির পাতেই থাকে ভাত। তিনবেলা না হোক অন্তত একবেলা তো ভাত খানই অনেকে। ডায়াবেটিসের জন্য অনেকেই ভাত খান না। তবে সুগার না থাকলে ভাত খেতেই হবে। কারণ ভাতে থাকে প্রয়োজনীয় কার্বোহাইড্রেট। সেই সঙ্গে ভাত নানা খনিজ সমৃদ্ধ। শরীরকে চাঙ্গা রাখতে কার্বস দরকার। তাই ভাত খাওয়া উচিত। কিন্তু মুশকিল হল, ভাতের সঙ্গে এমন অনেক জিনিস থাকে যা স্বাস্থ্যের জন্য় ক্ষতিকর। ভাতের সঙ্গে কখনও সেই সব খাবার খাওয়া উচিত নয়। ভাতের সঙ্গে কী কী খেতে নেই?
রুটি- ভাতের সঙ্গে রুটি একদম খাওয়া যায় না। অবাক হলেন! অনেকেই ভাত-রুটি একসঙ্গে খান। কার্বস ও ফাইবার ডায়েটে রাখতে অনেকেই ভাত-রুটি একসঙ্গে খেয়ে থাকেন। তবে এটা সঠিক অভ্যাস নয়! কারণ ফাইবার এবং কার্বোহাইড্রেটের কম্বিনেশন হলেও তা পেটে সয় না। ভাত ও রুটির গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অনেক বেশি। ফলে ওজন বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে পেটে গোলমাল বাধায়। গ্যাস-অম্বলের সমস্যা দেখা দিতে পারে। অনেক সুগার রোগী ভাত-রুটি একসঙ্গে খেয়ে থাকেন। এটা একদম করবেন না। দরকারে কম করে ভাত খান। বা শুধু রুটিই খান।
আলু- হাতে সময় না থাকলে বাঙালির ফাস্টফুড আলু সেদ্ধ-ভাত। আলু ও ভাত একসঙ্গে খাওয়া উচিত নয়। পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভাত ও আলু অস্বাস্থ্যকর। ভাত ও আলুর ক্যালোরির পরিমাণ বেশি। ফলে ভাত ও আলু খেলে ওজন হু হু করে বেড়ে যায়। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে ভাতের সঙ্গে আলু একদম নয়।
ফল- ভাত খেয়ে উঠেই অনেকে ফল খেয়ে ফেলেন। সঙ্গে সঙ্গে ফল খাবেন না। বা অনেকে ফলের স্যালাড নেন। এটা সুঅভ্যাস নয়। ভাত খেলে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই ভাত খেয়ে উঠেই ফল খাবেন না।
কর্ন- আলুর মতোই ভাতের সঙ্গে কর্ন খাবেন না। কর্নে থাকে স্টার্চ। তা শরীরের জন্য ভাল নয়। এর সঙ্গে ভাতে থাকা ক্যালোরি এবং স্টার্চ মিলে ওজন বাড়ে। বিশেষ করে পেটের চারপাশে জমে চর্বি।
চা- ভাত খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকে চা খান। ভাত খাওয়ার আগে অনেকে চা খেয়ে ফেলেন। এটা করবেন না। ভাত খাওয়ার আগে বা পরে চা একদম খাবেন না। এতে পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে। দীর্ঘকালীন কোষ্ঠকাঠিন্যও হতে পারে। চায়ে রয়েছে ট্যানিন। যা ভাতের সঙ্গে বিক্রিয়ায় গ্যাস উৎপন্ন করে। তাই চা একদম নয়।