রান্না কী আর রোজদিন সমান সুস্বাদু হতে পারে, উত্তরটা হল একেবারেই নয়। বড় বড় রাঁধুনিরাও এই কথা একবাক্যে মেনে নেবেন। কখনও খাবারে নুন বেশি আবার কখনও বা ঝাল বেশি। এটা হতেই পারে। আর এতে কিন্তু কোনও দোষের কিছু নেই। যাঁরা সারাদিন হেঁশেল সামলান, তাঁদের কাজের লিস্টি তো আর কম লম্বা নয়। এদিক সেদিক হওয়াটা দোষের নয়। তবে বাড়িতে অতিথি আসলে যদি রান্নায় কোনও ভুল ত্রুটি হয়, তা হলে বেশ খারাপ লাগে। বিশেষ করে যখন আপনি বেশ খানিকটা সময় রান্নাঘরে ব্যয় করেছেন। বিশেষ করে যদি রান্নায় ঝাল আর নুন বেশি হয়ে যায়, তবে অতিথিদের সামনে লজ্জায় মাথা কাটারই সমান হয়। কখনও অসাবধানতায় খাবারে অতিরিক্ত ঝাল হয়ে গেলে তাতে সামান্য স্বাদের পার্থক্য আনা বুদ্ধিমানের কাজ। পরিবারের সকলের পাশাপাশি বাড়ির ছোট সদস্যদের সমস্যা হয় সবচেয়ে বেশি। তাই আপনার জন্য রইল ঝাল কমানোর কয়েকটি সহজ উপায়।
লেবুর রস
লেবুর রস ঝাল কমাতে খুবই সাহায্য করে। তাই যে কোনও খাবারেই ঝাল কমাতে লেবুর রস দিয়ে দিন পরিমাণ মতো।
আলু
যদি বুঝতে পারেন তরকারিতে ঝাল বেশি হয়ে গেছে তাহলে কয়েকটা আলু টুকরো করে কেটে দিয়ে দিন ঝোলে। এবার ঢাকা দিয়ে ফুটিয়ে দিন। আলু সেদ্ধ হওয়ার সময় তরকারি থেকে ঝাল টেনে নেবে।
দুধ
কোনও কিছু ডুবিয়ে ভাজার জন্য তৈরি করা ব্যাটারে ঝাল বেশি হলে তাতে মিশিয়ে নিন খানিকটা দুধ। ঝাল অনেকটাই কমে আসবে।
টকদই
ভাজাভুজিতে ঝাল বেশি হলে তা টকদই সহযোগে পরিবেন করুন। ঝাল বোঝাই যাবে না।
বাদাম বাটা
চাঁপ, রেজালা, কোর্মা-জাতীয় খাবারে ঝাল বেশি হলে তাতে যোগ করুন বাদাম বাটা তাহলে ঝাল অনেকটাই কমে যাবে।
আরও পড়ুন: হাঁস না মুরগি, কোন ডিমে উপকারিতা বেশি
পিনাট বাটার
খাবারের স্বাদ বাড়াতে এবং অতিরিক্ত মসলাভাব কমাতে বাদামের মাখন উপকারী। এই মাখন খাবারে মসলার ঝাঁঝ কমায় এবং পুষ্টিমান বাড়ায়।
অ্যাসিড উপাদান
অ্যাসিড উপাদান যেমন ভিনিগার, সিট্রাস বা টক ফলের রস এমনকি ক্যাচআপ খাবারের বাড়তি মসলাভাব কমাতে সহায়তা করে।