আপনি কি ওজন নিয়ে চিন্তিত? কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছেন না ভুঁড়ি? তাহলে এই প্রতিবেদন আপনার জন্য। মাত্র ৩০ দিনে ওজন কমাতে পারবেন আপনিও। সেজন্য খেতে হবে সস্তার ৩টে খাবার। আর সেই খাবারগুলো খেলেই বাজিমাত। আর সবথেকে বড় কথা হল, এই খাবারগুলো দামে যেমন সস্তা তেমন সহজলভ্যও।
আসুন দেখা যাক ওজন কমানোর কী সেই কৌশল-
গরম জল : গরম জল খেলে শরীর থেকে ক্ষতিকারক টক্সিন বের হয়ে যায়। গরম জল খেলে ঘামও হয়। দেহে রক্ত চলাচল বাড়ে যদি খাওয়া হয় গরম জল। শীতে মানুষের মধ্যে কম জল পানের প্রবণতা দেখা যায়। কিন্তু এই ভুল করবেন না। দিনে কমপক্ষে দু থেকে তিন লিটার জল পান করুন। যদি ঠান্ডা জল খেতে সমস্যা হয় তাহলে গরম জল পান করতে পারেন। জল খেয়েও আপনি ওজন কমাতে পারেন।আবার যাদের জিম করার সময় নেই তাঁরা রোগা হওয়ার জন্য গরম জলের সাহায্য নিতে পারেন। এতে কোনও খাটনি ছাড়াই সময় মত জল খেলেই রোগা হওয়া যাবে।
মেথি : মেথি ভেজানো জল দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করে। এই পানীয় খেলে, খিদেটাই কমে যায়। মেথি বীজের চা ওজন কমাতে এবং ডায়াবেটিসের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়া হজম ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের রাখার ক্ষেত্রেও এটি অত্যন্ত কার্যকর। সামান্য জল দিয়ে কিছু মেথি বীজ বেটে নিন। একটি পাত্রে খানিকটা জল ফুটিয়ে নিয়ে তার সঙ্গে ওই মেথি পেস্ট মিশিয়ে দিন। প্রতিদিন খালি পেটে এই চা খেতে পারলে ফল পাবেন হাতেনাতে।
আরও পড়ুন : বৃষ্টির পূর্বাভাস, জানুয়ারিতেই গরমে হাঁসফাঁস করবে রাজ্যবাসী?
আদা : ভারি খাবার খাওয়ার পর খানিকটা আদা চিবিয়ে খান। তাহলে পেটের অস্বস্তিভাব কেটে যাবে। আদার রস খাদ্যের ভেতরকার পুষ্টিকে শরীরে দ্রুত ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করে। একই সঙ্গে আমাদের দেহের মেদ ঝরাতেও আদা একই রকম উপকারী। তাই রোজ ঘুম থেকে উঠেই হালকা গরম জলে কয়েক টুকরো আদা মিশিয়ে খান।
বেশি প্রোটিন: স্থূলতা কমাতে সারাদিনে ভালো পরিমাণে প্রোটিন গ্রহণ করা প্রয়োজন।পাতে রাখুন পনির, দই, ডাল এবং বিনস। প্রোটিন খিদে কমায়। ফলে আপনি অতিরিক্ত খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারবেন।
ওজন কমাতে কী কী খাওয়া ছাড়বেন ?
চিনি ছাড়ুন : ওজন কমাতে গেলে প্রথমেই যেটা করতে হবে তা হল মিষ্টি জিনিস ত্যাগ। মিষ্টি ও চকোলেট থেকে দূরে থাকতে হবে। আসলে মিষ্টি খেলে মেটাবলিজম ধীর হয়। এতে ওজন বাড়ে। বেশি প্রোটিন: স্থূলতা কমাতে সারাদিনে ভালো পরিমাণে প্রোটিন গ্রহণ করা প্রয়োজন।পাতে রাখুন পনির, দই, ডাল এবং বিনস। প্রোটিন খিদে কমায়। ফলে আপনি অতিরিক্ত খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারবেন।
(Disclaimer : প্রতিবেদনটি সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে লেখা, প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)