ওজন কমানোর জন্য অনেকে ডায়েটিশিয়ানের কাছে যান। নিয়ম মেনে খাওয়া দাওয়া করেন। অনেকে আবার নিয়মিত এক্সারসাইজ করেন। ডায়েটেশিয়ান বা ট্রেনারদের পরামর্শ মতো চললে ওজন কমে এটা ঠিক। তবে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে শুধু জল খেয়ে থাকলেই কমে যাবে ওজন। চিকিৎসকরা একে বলছেন, Water fasting। কীভাবে জল খেয়ে ওজন কমবে, কতক্ষণ বা কতদিন খেতে হবে? আসুন জানি।
Water fasting কী ?
ওয়াটার ফাস্টিং হল হল শুধুই জল খেয়ে থাকা। এই পিরিয়ডে কোনও রকম খাবার খেলে কিন্তু চলবে না। তাহলেই কমবে ওজন। পেটের চর্বিও ঝড়বে। পুষ্টিবিদ নেহা পাতিদিয়া ও নূপুর আরোরার মতে, ওয়াটার ফাস্টিং মেনে চলতে ,হবে কঠোর ভাবে। কোনওরকম অনিয়ম করলে চলবে না। ২৪ থেকে ৭৪ ঘণ্টা পর্যন্ত এই ওয়াটার ফার্স্টিং চলবে। তবে চিকিৎসকরা এটাও পরামর্শ দিচ্ছেন, এর বেশি সময়কাল কিন্তু ওয়াটার ফার্স্টিং করা যাবে না। তাতে শরীর খারাপ হতে পারে। সেই কারণে সাবধান থাকাও দরকার।
গত বছর US ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিনের তরফে একটি সমীক্ষা চালানো হয়। যেখানে ১২ জন মধ্যবয়সী পুরুষকে ৪ দিন শুধু জল খেতে দেওয়া হয়। ৪ দিন পর দেখা যায়, অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে মানসিক চাপ দেখা দিয়েছে। এছাড়াও তাদের ওজন কমেছে। ঝরেছে মেটের চর্বিও। তবে ডিহাইড্রেশন, কেটোজেনেসিস বৃদ্ধি, হাইপারুরিসেমিয়া, সিরাম গ্লুকোজ ঘনত্ব হ্রাসের মতো সমস্যা দেখা গিয়েছিল। গবেষকরা তা থেকে অনুমান করেন, দীর্ঘ দিন ধরে এই ওয়াটার ফার্স্টিং চালালে শরীরে তার ভালো ও খারাপ প্রভাব পড়ে।
গবেষণায় দেখা গেছে, শুধু জল খেয়ে থাকলে পেশী ক্ষয়, রক্তচাপের ওঠানামা এবং অন্য বিভিন্ন স্বাস্থ্য অবস্থার কারণ হতে পারে। তবে মনে রাখবেন, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত, গর্ভবতী মহিলা এবং শিশুদের এই কাজটি ফর্স্টিং ওয়াাটার এড়ানো উচিত। না হলে হিতে বিপরীত হবে।
পুষ্টিবিদ নেহা পাতিদিয়া এবং নুপুর অরোরা বলেন, 'অনেকে ওজন কমানোর জন্য প্রতিদিন শুধুই জল পান করেন। এতে নিয়মিত ১ কেজি পর্যন্ত কমানো সহজ। তবে সাবধান থাকতে হবে। ২৪ থেকে ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত জল খাওয়া যেতে পারে। তারপর আর নয়।'
ওই পুষ্টিবিদরা আরও জানাচ্ছেন, এভাবে শুধু জল খাওয়া সবার জন্য ঠিক নয়। ধর্মীয় উদ্দেশে উপোস করলে ঠিক আছে। তবে তার বেশি নয়।