কোন কোন চাহিদা মিটলে সম্পর্কে থাকা উচিত মেয়েদের? যে কোনও সম্পর্কেই ভাল-মন্দ চলতেই থাকে। আর প্রেমের সম্পর্ক হলে তো কথাই নেই! মান-অভিমান, আবেগ, উত্তেজনা ও আরও নানা জটিল মনস্তাত্বিক সমীকরণ জড়িয়ে থাকে। প্রিয় সঙ্গীর সঙ্গে আপনার সম্পর্ক যতই মজবুত হোক না কেন, প্রতিটি সম্পর্কেই আসে কিছু ওঠাপড়া। তাই খুব সাবধানে, সচেতন ভাবে সম্পর্কের খুঁটিনাটি বিষয়গুলিকে সামলাতে হয়। সামান্য একটু ভুল বোঝাবুঝি বা অবিশ্বাস সম্পর্ককে শেষ করে দেয় চিরতরে। বিয়ের আগে অথবা পরে, মাঝেমধ্যে সম্পর্ক এমন কিনারায় এসে দাঁড়ায় যেখানে এসে মনে হয় এই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখাও আর সহজ হচ্ছে না। মনে হয় দেওয়ালে পিঠ থেকে গিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় মহিলারা পরিস্থিতির সঙ্গে আপস করে নীরবে সবকিছু সহ্য করে নেন। কিন্তু জীবনে এমন কিছু মুহূর্ত বা পরিস্থিতি রয়েছে যেখানে মহিলাদের আপস করা উচিত নয়। প্রতিটি মহিলাকে অবশ্যই সম্পর্কের এই চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করে বেরিয়ে আসতে এই বিষয়গুলির ওপর নজরও দেওয়া খুব জরুরি।
স্বাধীনতা যেন সমান থাকে
দুজনের সম্পর্কের ক্ষেত্রে, নারীদের পুরুষদের মতো একই স্বাধীনতা দেওয়া উচিত। তাই আপনার জীবনেও যেন স্বাধীনতা থাকে। এছাড়াও, আপনার জীবনের সিদ্ধান্তগুলি নিজেই নিন। বাস্তবে দেখা যায় এমনকি আধুনিক জীবনেও, অনেকে মনে করেন যে মহিলাদের শুধুমাত্র ঘরের কাজের জন্য তৈরি করা হয়েছে। আপনার সঙ্গীরও যদি এমন চিন্তাভাবনা থাকে, তাহলে সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়ার আগে এই বিষয়ে আপনার সঙ্গীর সঙ্গে খোলামেলা কথা বলুন।
কেরিয়ারকে সাপোর্ট
বিয়ের পর আপনার সঙ্গীর যদি আপনার চাকরি নিয়ে সমস্যা হয়, তাহলে আগে থেকেই আপনার সঙ্গীর সঙ্গে কথা বলুন এবং ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন। একজন আত্মবিশ্বাসী মহিলার কখনই তার কেরিয়ার নিয়ে আপস করা উচিত নয়। তাই সম্পর্কের শুরুতেই পার্টনারের সঙ্গে এই নিয়ে আলোচনা করে নেওয়া অবশ্যই জরুরি।
পার্টনার যেন সম্মান করেন আপনাকে
একটি শক্তিশালী সম্পর্ক ভালোবাসা এবং বিশ্বাসের উপর নির্মিত হয়। আপনি যদি মনে করেন যে আপনার সঙ্গী আপনাকে আপনার প্রাপ্য ভালবাসা এবং সম্মান দেয় না, তবে আপনার অবশ্যই একবার আপনার সম্পর্কের কথা ভাবা উচিত।
স্পেস থাকা দরকার
সঙ্গীর পাশাপাশি নিজেকেও আলাদা করে কিছু সময় দিন। বন্ধুদের সঙ্গে পার্টি করা বা আপনার প্রিয় বই পড়া যাই হোক না কেন এমন কিছু যা আপনাকে খুশি করে, তাই করুন। এর জন্য আপনাকে কারও কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে না, সঙ্গীর সঙ্গে এমন বোঝাপড়াই সম্পর্ক সতেজ রাখে।
স্পর্শ
স্পর্শ যে কোনও সম্পর্কের জন্যই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্পর্শ একে অপরের প্রতি অনুভূতি জাগিয়ে তোলে। যা আবেগ ও উত্তেজনাকে বাড়িয়ে দেয়। বিশেষ মানুষের কাছ থেকে বিশেষ স্পর্শ পেতে কার ভালো লাগে না? তাই সঙ্গীর ছোঁয়া, হাত ধরা, ভালবেসে জড়িয়ে ধরা, কাঁধে বা বুকে মাথা রাখা আপনাকে কতটা আনন্দ দিচ্ছে সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখুন।